আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।এই বিষয়গুলো নিয়ে মারাত্বক চিন্তায়।মনে হয়,প্রশ্নটা আগেও করেছিলাম।আপনি মনে হয় বলেছিলেন তালাক হবে না।আমি আবার সিওর হওয়ার জন্য করেছি।আমি চায় স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে।কিছু  মনে করিয়েন না শায়খ।

১।কোন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে তুমি দাও।স্ত্রী তখন  মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে ৩ তালাক দেয় মানে ৩ বার স্বামীর দিকে মনে মনে ইন্গিত করে তা......... বলেছে শুধু।সে নিজের দিকে করে নি ইন্গিত কারন সে জানতই না মেয়েরা তালাক দিতে পারে নিজেদেরকে স্বামী অধিকার দিলে ।এতে কি তালাক হবে?এরকম কয়েকবার হয়েছে।মানে যতবার স্ত্রী তালাক চাইত ততবার বলত স্বামী কথা ওটা মানে তুমি দাও কারন স্বামী চাইত না স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে। তখন তহ মেয়েরা তালাক দিতে পারে যে সেটা ওরা জানত না ওরা।তহ স্ত্রী অনেক মাস পরে  স্বামীকে জিগ্যেস করে "আমি  তালাক চাইলে তুমি বলতা যে তুমি দাও।এটা কাকে দিতে বলতা যে? তুমাকে?স্বামী বলে "থেত এগুলো মন থেকে বলতাম না। ছেড়ে  দিব বা ছেড়ে দিছি এগুলো তুমাকে থামানোর জন্য বলতাম যে"।কিন্তুু স্বামী আগে কোনদিন বলে নি ছেড়ে দিছি,দিব বলত।স্ত্রী জানে না বলেছে কিনা , স্ত্রীর যদ্দুর    মনে পড়ে বলে নি কিন্তুু ছেড়ে দিব সেটা বলত দিছি বলে নাই।কারন স্ত্রী কেনায়া তালাক সম্পর্কে না জানলেও সরাসরি তালাক দেই নাই সেটা জানে,বাকিটা আল্লাহ জানে বলেছি কিনা।এমনকি কিছু দিন আগেও স্ত্রী প্রশ্ন করেছিল তখন না বলছিল স্বামী মানে সরাসরি তালাক দেই নি।  । স্বামীর তেমন মনে থাকে না কথা,৩ দিন আগে কি বলেছে সেটাই মনে থাকে না কথাটা সে আন্দাজে বলেছে মনে হয় স্বামী।স্বামীকে জিগ্যেস করেছে প্রশ্ন একটা আর উত্তর দিছে আরেকটা।এখানে স্বামী স্ত্রীর কোন কথায় কি তালাক হবে?তারপর স্ত্রী আবার বলতেছে কাকে দিতে বলতা তালাক ?  স্বামী বলতেছে বাদ দাও তহ মনে নেই আমার।এখানে উপরোক্ত কোন কথা বার্তা দ্বারা কি তালাক হবে?সব কথাগুলো মেসেজে হয়েছিল।ভিড়িও কল দিছে কিন্তুু কথা হচ্ছিল মেসেজে।কারন স্বামী দূরে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের অধীকার প্রদান করে,তাহলে তাহলে স্ত্রী নিজের উপর তালাক দিতে পারবে।

আপনি ওয়াসওয়াসার রোগী।আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।এবং নেককার লোকের সংস্পর্শ গ্রহণ করুন, সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (40 points)
edited by
জ্বি শায়েখ।ভুল ক্ষমা করবেন।আমার এই বিষয়ে মারাত্বক ওয়াসওয়াসা আছে।এমন ওয়াসওয়াসা সারাদিন টেনশন করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ি।এই বিষয়টা নিয়ে আমি আপনাকে  ২ বার প্রশ্ন করেছি।মানে ওয়াসওয়াসা আসে যে মনে "আমার পুরো লিখাটা পড়েছে তহ? বুঝেছে তহ? নাকি পড়ে নি নাকি বুঝে নি?" মাফ করবেন শায়খ কোন  আপনাদের ফতোয়াকে সন্দেহ করি বিষয়টা এমন না। এসব চিন্তা না চাইলেও আসে।একদম ভেন্গে পড়ি এসবের চিন্তায়। 

শায়েখ উপরের স্বামী  যেসব বলেছে মানে আন্দাজে যেসব বলেছে এসব কথা দ্বারা কোন সমস্যা বা তালাক হবে না এই তহ??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...