আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
318 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
(❤)লাভ চিহ্ন বর্তমানে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে প্রচলিত।একজনের লেখা থেকে জানলাম কোনো দেবীর মূর্তির ছবির সাথে এই আকৃতি আছে।online এ খোজ করে এটি পাই নি তবে এর ইতিহাস পরে জানলাম এই চিন্হের পিছনে অন্য ইতিহাস আছে যা বিধর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত।দয়া করে এই চিন্হের বিষয়ে জানাবেন।এবং এই চিহ্ন কি ব্যবহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
লাভ চিহ্ন সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে নির্ভর্যোগ্য সূতৈ কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। অনলাইনের বিভিন্ন লিখায় দেখা যাচ্ছে যে, এটা বিভিন্ন দেবমূর্তির প্রতিক হিসেবে অতীতে প্রচলিত ছিল। কিন্তু এসব সংবাদের সত্যতা সর্বতাই প্রশ্নবিদ্ধ!!! 
সুতরাং নিশ্চিতভাবে লাভ চিহ্ন ব্যবহার হারাম বলা যাচ্ছে না। হ্যা, সতর্কতামূলক পরিত্যাগই শ্রেয়।

নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
عن عامر، قال: سمعت النعمان بن بشير، يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "الحلال بين، والحرام بين، وبينهما مشبهات لا يعلمها كثير من الناس، فمن اتقى المشبهات استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات: كراع يرعى حول الحمى، يوشك أن يواقعه، ألا وإن لكل ملك حمى، ألا إن حمى الله في أرضه محارمه، ألا وإن في الجسد مضغة: إذا صلحت صلح الجسد كله، وإذا فسدت فسد الجسد كله، ألا وهي القلب "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে। 
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
লাভ চিহ্ন সম্পর্কে নিশ্চিত ও নির্ভর্যোগ্য কোনো সংবাদ আমাদের নিকট নাই। সুতরাং এটার ব্যবহারকে অকাট্য  হারাম বলতে পারতেছি না। হ্যা, এই সংবাদ সমূহের সত্যতার ও সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এগুলোকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমি গতবার যেখান থেকে জেনেছিলাম তার তুলনায় wikipedia এর তথ্য সঠিক হওয়ার সম্ভবনা বেশি মনে হয়।আমি wikipedia তে সার্চ করে এই চিন্হ সম্পর্কে যা বুঝতে পেরেছি তা হলো এর উৎপত্তি মূলত হৃত্পিণ্ডের আকৃতি থেকে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে এর ব্যবহার হয়েছে।এখন এই চিহ্ন কি ব্যবহার করা যাবে ?জায়েজ ক্ষেত্রে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...