যদিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তো কোনো ছেলে সন্তানই জীবিত ছিলোনা,
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কন্যা ফাতিমাহ রাঃ এর সন্তান ও তাদের বংশধর দেরকে আওলাদে রাসুল সাঃ এর দিকে নিসবত করা যাবে।
" إِنَّمَا فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রকৃতপক্ষে ফাতিমাহ আমার শরীরের একটি অংশ।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৬২ : সাহাবাগণের মর্যাদা, অধ্যায় ১৬, হাঃ ৩৭২৯; মুসলিম, পর্ব ৪৪ : সাহাবাগণের মর্যাদা, অধ্যায়, ১৫, হাঃ ২৪৪৯,তিরমিজি ৩৮৬৯)
قال الشريف السمهودي :
"معلوم أن أولادها بضعة منها ، فيكونون بواسطتها بضعة منه صلى الله عليه وسلم ، وهذا غاية الشرف لأولادها" انتهى
সারমর্মঃ
এখান থেকে জানা গেলো যে ফাতিমাহ রাঃ এর সন্তানগনও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শরীরের অংশ।
সুতরাং তার মাধ্যমে তার বংশধর গনও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শরীরের অংশ।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، إِسْرَائِيلُ بْنُ مُوسَى قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ، يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ مَعَهُ وَهُوَ يُقْبِلُ عَلَى النَّاسِ مَرَّةً وَعَلَيْهِ مَرَّةً وَيَقُولُ " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَظِيمَتَيْنِ " .
মুহাম্মাদ ইবনু মানসূর (রহঃ) ... আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর দেখেছি, এবং ইমাম হাসান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে তাকাচ্ছিলেন, আর একবার হাসান (রাঃ) এর দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, নিশ্চয়ই আমার এ ছেলে (দৌহিত্র) সর্দার হবে এবং সম্ভবত আল্লাহ তা’আলা তার দ্বারা মুসলমানদের দু’ বড় দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করাবেন।
(নাসায়ী ১৪১৩,তিরমিজি ৩৭৭৩)
★এখানে ফাতিমাহ রাঃ এর ছেলে হাসান রাঃ কে রাসুলুল্লাহ সাঃ ছেলে বলে আখ্যায়িত করেছেন।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حُدِّثْتُ عَنْ هَارُونَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَنَظَرَ إِلَى ابْنِهِ الْحَسَنِ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ كَمَا سَمَّاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَيَخْرُجُ مِنْ صُلْبِهِ رَجُلٌ يُسَمَّى بِاسْمِ نَبِيِّكُمْ، يُشْبِهُهُ فِي الْخُلُقِ، وَلَا يُشْبِهُهُ فِي الْخَلْقِ - ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةً - يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا
আবূ ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেন, আর তিনি তার ছেলে হাসানের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমার এই ছেলেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ নেতা আখ্যায়িত করেছেন, অচিরেই তার বংশ থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামে তার নাম হবে, স্বভাব-চরিত্রে তাঁর মতো; কিন্তু গঠন আকৃতি অনুরূপ হবে না। অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, সে পৃথিবীকে ন্যায় বিচারে ভরে দিবে।
(আবু দাউদ ৪২৯০)
جاء في "مغني المحتاج" (3/63) :
"فَائِدَةٌ : مِنْ خَصَائِصِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ أَوْلَادَ بَنَاتِهِ يُنْسَبُونَ إلَيْهِ ، وَهُمْ الْأَشْرَافُ الْمَوْجُودُونَ ، وَمِنْهُمْ الْهَاشِمِيُّونَ" انتهى .
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর একটি বৈশিষ্ঠ হলো তার মেয়েদের সন্তানদেরকেও তার বংশের দিকে নিসবত করা হবে।
وجاء في "الموسوعة الفقهية" (2/640) :
"ممّا اختصّ به رسول اللّه صلى الله عليه وسلم دون النّاس جميعاً أنّ أولاد بناته ينتسبون إليه في الكفاءة وغيرها ، لقوله صلى الله عليه وسلم : (إنّ ابني هذا سيّد)" انتهى .
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর একটি বৈশিষ্ঠ হলো তার মেয়েদের সন্তানদেরকেও তার বংশের দিকে নিসবত করা হবে।
ইসলামী স্কলারগন বলেনঃ-
أحفاد الرسول صلى الله عليه وسلم وذريته الموجودون الآن كلهم من نسل ابنته فاطمة رضي الله عنها ، ولكون الرسول صلى الله عليه وسلم سيد البشر وأشرفهم والنسبة إليه شرف بلا شك ، صارت ذريته ينتسبون إليه ، ولا ينسبون إلى آبائهم ، وقد ذكر العلماء أن ذلك من خصائصه صلى الله عليه وسلم
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বংশধর এখনো বিদ্যমান রয়েছেন।
প্রত্যেকেই হযরত ফাতিমাহ রাঃ এর বংশ থেকে।
কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাঃ যেহেতু সমস্ত মানুষের সরদার,এবং সম্মানীত।