আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
334 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (140 points)
আসসালামুআলাইকুম।

আমাদের পরীক্ষায় ব্যাবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সবাই দেখে লিখে, কলেজ স্টাফ রা বলে দেয় বা আমাদের হেল্প করে। যে টিচার রা আমাদের পড়ান তারা বিষয় টি জানেন এবং আমাদের ক্লাস এও বলেছেন যে আমরা জানি তোমরা ব্যাবহারিক বিষয় গুলো নিজেরা করনা, কিন্তু তাও বুঝ দেওয়ার জন্য এটা সেটা করবা ইত্যাদি। তারপর এক সাবজেক্ট এর টিচার আমাদের ক্লাস এ বলে দিয়েছেন যে তোমরা ছবি আকবা, একে এটা দেখে দেখে পরীক্ষার সময় একে ফেলবা।

এমন অবস্থায় আমার জন্য কি দেখে ব্যাবহারিক পরীক্ষা দেওয়া জায়েজ হবে? সবাই এ দেখে লিখে কোনো না কোনো সময় সাধারণত।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/539 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নকল করা, জালিয়াতি করা ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম।চায় তা ক্রয়-বিক্রয়ে হোক বা পরীক্ষায় হোক সর্বাবস্থায় ই নাজায়েয।
যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)

বিশেষকরে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধ এবং তার অপরাধবোধ দীর্ঘমেয়াদী।শায়েখ উসাইমিন রাহ. এটাকে কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত করেন।কেননা এই নকলকৃত পরীক্ষার উপর ভবিষ্যৎ জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে।সুতরাং মূল ভিত্তিতে ধোকা থাকলে তার শাখাপ্রশাখায় এর বয়ে যাওয়া ইতিবৃত্ত ধোকার মধ্যেই থাকবে।
(অাল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক)

মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য।নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পরীক্ষা যদি কলেজ কেন্দ্রিক হয়, এবং কলেজের সবাই দেখাদেখিতে ও বলাবলিতে ব্যস্ত থাকে, তাহলে আপনিও অন্যর কাছে সাহায্য চেয়ে লিখতে পারবেন বা অন্যরটা দেখে লিখতে পারবেন।কেননা এখানে অন্যর হক নষ্ট হচ্ছে না। তবে যদি কেউ একজন না দেখে, বা পরীক্ষাটা দেশব্যাপী হয়, তাহলে এমতাবস্থায় নকল করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (140 points)
উস্তাদ, পরীক্ষাটি দেশব্যাপী। ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা টা হলো যে কলেজ স্টাফ রাই বলে দেয় পরীক্ষায় কি এসেছে, যেমন, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে কোনটা এসেছে প্রশ্ন পাওয়ার পর পর এ বলে দেয় যে এটা এটা এসেছে, নিজে লিখি যতটুক পারি আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু ওই যে ওরা বলে দেয়, এটা কে তো এড়াতে পারিনা। শুনে ফেললে তখন হয় না লিখে খাতা জমা দিতে হবে নাহলে ভুল লিখতে হবে? এক্ষেত্রে কি করণীয়? যেকোনো একজন ও না দেখে লিখবে কিনা এটা sure না, পরীক্ষা দেশব্যাপী কিন্তু প্রতিটা কলেজ নিজস্ব তত্ত্বাবধায়ন এ পরীক্ষা নেয়। কি করণীয়। দয়া করে জানাবেন। উত্তর জলদি পেলে ভালো হতো উস্তাদ আফওয়ান
by (140 points)
উত্তর দিবেন দয়া করে। আফ ওয়ান

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...