আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
370 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
reshown by
অন্য কারণ ছিল
1. বিয়ের পূর্বে ছেলে সম্পর্কে মিথ্যে বলা হয় - ছেলে প্রফেসর কিন্তু ছেলে ছিল স্কুল মাস্টার এবং বেতন কম ।এটি বলে ঘটক মেয়ের আপন মামা তাই মেয়ের পক্ষ এটি বিশ্বাস করে নেয় । আর যাচাই করেনি । ছেলে বিয়ের পূর্বে  এই মিথ্যে জানত না। আবার কাবিনের পর ছেলে মেয়েকে মেসেজ দিয়ে তার চাকরি ও বেতন সম্পর্কে সত্যটা বলে।
2. মেয়ের পক্ষ বিয়ের পর জানতে পারে ছেলে প্রফেসর না স্কুল মাস্টার বেসরকারি স্কুলের । পরে স্কুলে বেতন কম হওয়ায় ছেলে মেয়ের পরামর্শেক্রমে চাকরি ছেড়ে দেই । মেয়ের পক্ষ থেকে ছেলেকে ব্যবসা করতে বলে । ছেলে ব্যবসা করতে রাজি হয়  । কিছুদিন পর মেয়ের বাবা বিদেশ থেকে ভাল  একটি জরুরি ফার্মেসির ভিসা পায় ছেলেকে মেয়ে বিদেশ যেতে বলে ও অনেক বুজায় কিন্তু ছেলে রাজি হয়নি । তারপর থেকে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে । এবং বিয়ের প্রায় আড়াই মাস পর মেয়ে তালাক পত্র পাঠায় । নিজের প্রতি নিজে তালাক গ্রহণ করে কাবিনের 18 নং কলামের ক্ষমতাবলে । 18 নং কলামে স্বামীর কোন স্বাক্ষর নেই । 25 নাম্বার কলামে বরের ঘরে স্বামীর সাক্ষর আছে।  তালাক পত্রে বলে স্বামী 18 নং কলামের যাবতীয় শর্ত ভঙ্গ করে বিধায় এবং উদাসীন ভাবে চলাফেরা করে এবং আমার অধিকার আদায় করে না বিধায় মৌখিক তালাকে তফয়িজ নিজ শরীরের প্রতি নিজ তালাক গ্রহণ করিয়া বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করিলাম। কিন্তু  স্বামী 18 নং কলামের শর্ত ভঙ্গ  করিনি । তালকের নোটিশেও স্বামী স্বাক্ষর দেইনি। নোটিশে কোন স্বাক্ষরের অপশন নেই।
(মেয়েরা অনেক ধনী ছিল ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিল । )

প্রশ্ন 1 : ইসলামের দৃষ্টিতে এভাবে তালাক নিলে বৈধ হবে কিনা ? যদি বৈধ না হয় তাহলে স্বামীর করণীয় কি?

প্রশ্ন 2 : 10 জুন2022  , 90 দিন হবে । মেয়েকে যদি  এ অবস্থায় বিয়ে দিয়ে দেয় তাহলে স্বামীর কোন গুনাহ হবে কিনা?

প্রশ্ন 3 : স্বামী কি এই অবস্তায় স্ত্রীর অভিবাকদের খোলা তালাক নেওয়ার কথা বলতে পারে  ?

প্রশ্ন 4 : স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় স্ত্রী বা স্ত্রীর অভিবাবকদের না জানিয়ে তাহলে কি মোহরানা দিতে হবে ? যেহেতু তারা তালাকের 3টি নোটিশ পাঠিয়েছে  এবং স্বামীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)

যেহেতু বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাই কষ্ট করে হলেও উক্ত স্বামীকে মেনে নেওয়া উক্ত বিয়েকে মেনে নেওয়াই কল্যাণকর হবে। শতচেষ্টা করার পরও যদি আপনি তার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারেন, বা আপনার দ্বীন পালনে কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে আপনি তার কাছে তালাক চাইতে পারবেন, কিংবা খুলা আবেদন করতে পারবেন।

https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) ১৮ নং কলামে যদি স্বামী বাস্তবে তালাকের অধিকার না দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। সুতরাং স্ত্রী তালাকের নোটিশ প্রেরণ করলেও আল্লাহর কাছে তালাক হবে না। যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদাণ স্বামীর অগোচরে কাজী সাহেব দিয়ে থাকেন, তাহলে এজন্য কাজী সাহেব গোনাহগার হবেন।এবং দুনিয়ার বিচারে তখন স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে।

(২)
মেয়ে অন্যত্র বিয়ে বসলে মেয়ের গোনাহ হবে।স্বামীর কোনো গোনাহ হবে না।

(৩)
খোলার কথাও বলতে পারবে, অথবা নিজে তালাকও দিতে পারবে।তালাক দিয়ে দেয়াই উচিৎ।

(৪)
স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় স্ত্রী বা স্ত্রীর অভিবাবকদের না জানিয়ে তাহলে মরহরানা দিতে হবে। মহর সর্বাবস্থায় দিতে হবে।কেননা বিয়ের সাথে সাথেই স্বামীর উপর অর্ধেক মহর ওয়াজিব হয়ে যায়। এবং সহবাসের সাথে সাথেই বাকী অর্ধেক ওয়াজিব হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...