ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)
যেহেতু বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাই কষ্ট করে হলেও উক্ত স্বামীকে মেনে নেওয়া উক্ত বিয়েকে মেনে নেওয়াই কল্যাণকর হবে। শতচেষ্টা করার পরও যদি আপনি তার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারেন, বা আপনার দ্বীন পালনে কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে আপনি তার কাছে তালাক চাইতে পারবেন, কিংবা খুলা আবেদন করতে পারবেন।
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) ১৮ নং কলামে যদি স্বামী বাস্তবে তালাকের অধিকার না দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। সুতরাং স্ত্রী তালাকের নোটিশ প্রেরণ করলেও আল্লাহর কাছে তালাক হবে না। যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদাণ স্বামীর অগোচরে কাজী সাহেব দিয়ে থাকেন, তাহলে এজন্য কাজী সাহেব গোনাহগার হবেন।এবং দুনিয়ার বিচারে তখন স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে।
(২)
মেয়ে অন্যত্র বিয়ে বসলে মেয়ের গোনাহ হবে।স্বামীর কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
খোলার কথাও বলতে পারবে, অথবা নিজে তালাকও দিতে পারবে।তালাক দিয়ে দেয়াই উচিৎ।
(৪)
স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় স্ত্রী বা স্ত্রীর অভিবাবকদের না জানিয়ে তাহলে মরহরানা দিতে হবে। মহর সর্বাবস্থায় দিতে হবে।কেননা বিয়ের সাথে সাথেই স্বামীর উপর অর্ধেক মহর ওয়াজিব হয়ে যায়। এবং সহবাসের সাথে সাথেই বাকী অর্ধেক ওয়াজিব হয়ে যায়।