ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
একটু পড়লেও হবে,অর্ধেক করে পড়লেও হবে।
যদি আজকে এক পারা এরপর দিন ২য় পারা এরপর দিন সূরা বাকারার বাকি টুকু তিলাওয়াত করেন তাহলেও এ ফযিলত পাওয়া যাবে।আর এমনটা যদি প্রতিদিন রিপিট করি তাহলেও ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক।
হাসান, তা'লীকুর রাগীব ২/২২৩, মিশকাত ২১৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা রহঃ বলেন) হাদীসটি হাসান।
حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ ) .
হুরায়ম ইবন মিসআর (রহঃ) ...... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ-লাম-মীম তানযীল এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক সূরা দু’টি না পড়ে ঘুমাতেন না।
সহীহ, সহীহাহ ৫৮৫, আর রওয ২২৭, মিশকাত তাহকিক ছানী ২১৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসুলুল্লাহ সাঃ সুরা মুলক ঘুমানোর আগ দিয়ে পড়তেন,তার মানে নামাজে নয়,আলাদা ভাবে পড়াই এর স্বতন্ত্র নিয়ম।
তবে কেহ যদি রাতে এই সুরা পড়ার ফজিলত পাওয়ার নিয়তে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে অর্থাৎ এশার সালাতে একটু একটু করে পুরো সূরা তিলাওয়াত করে, তাহলেও ফযিলত লাভ হবে।
তবে আলাদা তিলাওয়াত করাই উত্তম।
(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইশার সালাতে যাহা তিলাওয়াত করবেন,সেক্ষেত্রে তিলাওয়াত এর সময় উক্ত ফজিলতের হাসিলের নিয়ত করলে আপনি ফজিলত পাবেন,ইনশাআল্লাহ।
তবে আলাদা তিলাওয়াত করাই উত্তম।