আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ্ উস্তাদ। আমি জেনারেল লাইনের স্টুডেন্ট আবার IOM এও পড়াশোনা করছি। আমি এইচএসসি ২১ পরীক্ষা ব্যাচ (সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের) এ বছর অনার্সে পড়াশোনা করব, কিন্তু সহশিক্ষায় যেতে চাই না, তাই আপনার পরামর্শ জানতে চাই। আমি চিন্তা ভাবনা করে কিছু বিষয় পেয়েছি, এগুলোর মধ্যে কোনটা নিয়ে পড়া আমার জন্য উপযুক্ত হবে, ইন শা আল্লাহ্, কিংবা আপনার কোনো পরামর্শ থাকবে বলবেন দয়া করে, ইন শা আল্লাহ্। আমার কাছে অনেকগুলে পথই খুলা আছে। তবে এখানে আমি কয়েকটা বলছি। ১. সাবজেক্ট- ইসলামিক স্টাডিজ। একটা প্রতিষ্ঠানের খোজঁ পেয়েছি, BIU(স্থানঃ মুগ্ধা)। আমি শুনেছি ভালো পরিবেশে পড়ার মতে জায়গা আছে পাশাপাশি সেখানে নামাজ পড়ারও সুব্যবস্থা, নিজ্বস বাস আছে যাতায়াতের জন্য কিন্তু এই সাবজেক্টে পড়লে কি কি করা যাবে চাকরীর ক্ষেএে এটা জানতে চাই? টিউশনি করা যাবে? এ সাবজেক্টে মাদ্রাসার টিচার হওয়া যাবে? বা কোনো ভার্সিটির প্রফেসর? ২. ইংলিশ নিয়ে পড়া, এটা আমার ফেবারিট সাবজেক্ট। কিন্তু অনার্সে অন্য দ্বীনি বোনদের থেকে জেনেছি অশ্লীলতা, বেহায়াপনা যিনা, গীবচর্চা ইংরেজদের উপন্যাস নিয়ে পড়াশোনা। আমার চিন্তাভাবনা মহিলা কলেজে পড়ে পড়াশোনা শেষে একটা যদি ইংলিশ বিষয়ে মাদ্রাসার টিচার হতে পারি, তাহলে কি আমি এ নিয়ত রেখে এ সাবজেক্ট পড়া যাবে? প্রতিষ্ঠানঃ তেজগাঁও মহিলা কলেজ(ফার্মগেট) সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ(মৌচাক).CSE সাবজেক্ট। প্রতিষ্ঠানঃ UITS স্থানঃ বারিধারা জে ব্লক অনলাইন কাজের প্রতি আমার একটা ঝোঁক আছে মুটামুটি, অনলাইনের কাজগুলো শিখতে ভালো লাগে, এই বিষয়ে পড়াশোনা করলে ফ্রীলান্সিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা সফটওয়্যার ম্যাকিং, বা ওয়েবসাইট রিলেটেড কিছু শিক্ষা ভালো হবে। কিন্তু এ ক্ষেএে সহশিক্ষায় যেতে হবে। পরবর্তীতে চাকরী কিংবা ঘরে বসে ফ্রীলান্সিং করতে পারব। উস্তাদ, এক্ষেত্রে আমি জানতে চাই, কোন বিষয়টা নিয়ে পড়লে আমার জন্য ভালো হবে? কিংবা আপনার কোনো পরামর্শ থাকলে দিবেন, ইন শা আল্লাহ্।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
এ সম্পর্কে পাকিস্তান শরয়ী কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মুফতী তাক্বী উসমানী (দাঃবাঃ) এক প্রশ্নের জবাবে বলেনঃ
সহশিক্ষা নাজায়েয ও হারাম। তবে বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় দ্বীনদারের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।সরকারী-বেসরকারি সমস্ত পদ-পদবীতে অমুসলিম -ফাসিকদের জয়জয়কার।
(আমি বলবঃআজ এই দেখুন আমাদের বাংলাদেশ! যেখানে সব কর্তৃত্ব অমুসলিম এবং বেদ্বীনদের হাতে।তাই বললে ভূল হবে না যে, 
অমুসলিমরা জনসংখ্যা অনুপাতে সংখ্যালগু হলেও তারা সরকারী পদ-পদবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ)

সুতরাং বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)(রদ্দুল মুহতার,১/৪২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি প্রথম এবং তৃতীয় যেকোনো একটিকে গ্রহণ করে নিতে পারবেন।তবে আপনার জন্য তৃতীয়টাই গ্রহণ করা উত্তম হবে বলে মনে হচ্ছে। কেননা আপনি তো iom এ ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করে নিচ্ছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...