১)এক বোন বাধ্য হয়ে সহশিক্ষায় পড়ছেন। তার ক্লাসে প্রেজেন্টেশন এর উপরে কিছু নাম্বার আছে। শিক্ষক পুরুষ। ক্লাসে বোর্ডের সামনে গিয়ে প্রেজেন্টেশন দিতে হবে। এখন সেই বোন যদি পরিপূর্ণ পর্দা করে এবং তার কণ্ঠকে নরম না করে প্রেজেন্টেশন দেন তাহলে কি এটা জায়েজ হবে? প্রেজেন্টেশন না দিলে উনি পরীক্ষায় পাস করতেও পারেন, আবার না ও করতে পারেন। মিডটার্ম, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, ফাইনাল পরীক্ষা এবং এটেন্ডেন্স এর নাম্বার মিলে রেজাল্ট দেওয়া হয়। উনি যদি বুঝতে পারেন যে, উনি প্রেজেন্টেশন না দিলেও পাস করবেন, কিন্তু রেজাল্ট খারাপ আসতে পারে, তাহলে কি তার জন্য এভাবে প্রেজেন্টেশন দেওয়া জায়েজ আছে?
আসলে উনি একদম সিউর হতে পারছেন না যে উনি পাস করবেন কিনা। ফাইনাল এর আগে প্রেজেন্টেশন হয়। ফাইনাল এ উনি ভালো নাম্বার তুলতে পারবেন কিনা তা তাই বলা যাচ্ছেনা। আবার কখনো মনে হচ্ছে তিনি পাস করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। যেহেতু প্রেজেন্টেশন না দিলে উনার শুধুমাত্র ১০ নাম্বার কাটা যাবে। অন্যান্য পরীক্ষায় উনার রেজাল্ট কেমন হবে সেটা সিউরলি না জানার জন্য কিছুটা সন্দেহে আছেন পাস করা নিয়ে।
২) উনার ক্লাসে ল্যাবরেটরিতে কিছু পরীক্ষা করানো হয়। ছেলে মেয়েরা একটা বড় টেবিলের আশেপাশে দাঁড়িয়ে কাজগুলো করে। যদিও ছেলে-মেয়ে আলাদা গ্রুপে কাজ করার কথা, কিন্তু দেখা যায় যে তারা একই টেবিলে কাজ করছে এবং কথাবার্তা বলছে। তাদের মধ্যে দূরত্ব ও কম (১ ফুট বা তার কম বেশি)। এই অবস্থায় তার কি ওই টেবিল এর কাছে যাওয়া জায়েজ হবে?
৩) ক্লাসে শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে কিছুসময় ছেলে-মেয়েরা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে একে অপরের সাথে। এই অবস্থায় তার কি সেই ক্লাসরুমে অবস্থান করা জায়েজ হবে? ক্লাস থেকে উঠে গেলে শিক্ষকের কাছে জবাবদিহি করতে হতে পারে বা সে কিছু পড়া মিস করতে পারে।
৪) ইদানীং প্রায় সব পুরুষকে নিয়ে বাজে চিন্তার ওয়াসওয়াসা আসছে উনার, যা আগে ছিলোনা। এখন উনি যদি বাধ্য হন শিক্ষকের দিকে তাকানোর জন্য, তাহলে কি গুণাহ হবে? উনি যদি নিশ্চিত হন যে, উনি কিছু সময়ের জন্য বাজে চিন্তা কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন তাহলে কি উনি কোনো পুরুষের দিকে তাকাতে পারবেন সেই কিছু সময়ের জন্য? তারপর যখন বাজে চিন্তা আসবে তখন চোখ নামিয়ে নিবেন। এমনটা করা কি ঠিক হবে?