আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
303 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম চরমোনাই এর কিতাবে কতক ভ্রান্ত আকিদা আছে এছাড়া তারা বিভিন্ন ওলামাদের সঙ্গে বেয়াদবি করে আর চরমোনাইয়ের বর্তমান পীর রেজাউল করিম বলেছে চরমোনাই পীর ফজলুল করিম নাকি জাহাজ নিয়ে আসবেন এরকম ভ্রান্ত কথা বলেছে এখন আমি কি চরমোনাই এর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ যোগ দিতে পারব?

1 Answer

+1 vote
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
জবাবঃ-
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

সুতরাং এই হাদীসের আলোকে আমি বলব,চরমোনাই সম্পর্কে হকিকত আমাদের জানা নেই।আমরা যতটুকু জানি, তারা হকপহ্নী। তাদের আকিদা বিশ্বাস বিশুদ্ধ। 

পীর ফজলুল করিম নাকি জাহাজ নিয়ে আসবেন, এমন কোনো কথা আমরা শুনিনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এই যে ওয়াজে উনি বলেছিলেন চরমোনাই পীর নাকি জাহাজ নিয়ে আসবেন।হ্যা আমার একটা ভুল হয়েছে পীর রেজাউল করিম এসহাক সাহেবের কথা বলেছিলেন ফজলুল করিম এর নয়।

by (3 points)

পীর সাহেব চরমোনাই কোন জাহাজ নিয়ে জান্নাতে
            যাবে সে প্রশ্নের উত্তর,ও ব্যাখ্যা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
চরমোনাইর পীর সাহেব বলেছেন, "কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কুতুবেরা বড় বড় জাহাজ নিয়ে জান্নাতে যাবে, তোমরা যদি এই তরিকার ঔষধ ঠিকমতো পালন করতে পারো ? তাহলে সেই জাহাজ তোমাদের ফালাইয়া জাবেনা, তোমাকেও তারা সুপারিশ করিয়া সংগে নিয়া যাইবো"
,
অথচো আমরা জানি একমাত্র নবী (সা:) ছারা কেউ সুপারিশ করতে পারবেনা, তাহলে চরমোনাইর পীর ভন্ড ?

@পরকালের সুপারিশ@
,
কোন পীরের ক্ষমতা নাই কাউকে সুপারিশ করে জান্নাতে নেওয়ার কিন্তু আল্লাহ যাকে সুপারিশ করার অনুমতি দিবেন , শুধুমাত্র তাঁরাই একমাত্র সুপারিশ করতে পারবেন , তবে আল্লাহ তায়ালা নবী (সা:) কে প্রথম সুপারিশের ক্ষমতা দিবেন, পরে নামাজ, রোজা , কোরান, এবং হক্কানী আলেম, হাফেজ , শহিদ, গাজী, মা-বাবা, সন্তান সহ আরো অনেককে সুপারিশ করার অনুমতি কোরান-হাদিস দ্বারা প্রমানিত,
,
যেমন : @ বিষয়:হক্কানী আলেম বা পীর মাশায়েখদের হাশরের ময়দানে সুপারিশ করা সম্বন্ধে @

যারা বলে একমাত্র নবী (সা:) ছাড়া আর কেউ হাশরের ময়দানে সুপারিশ করতে পারবেনা, আমি মনে করি তারা জাহেল । সুপারিশ কত প্রকার কি কি আগে বুঝতে হবে ।

শাফাআত কারা করবেনঃ
*************************
আদালতে আখিরাতে মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে যারা শাফাআত করবেন তারা হচ্ছেন, নবীগণ, ফিরিশতাবৃন্দ, শহীদগণ, আলেম-ওলামা
বা পীর-মাশায়খগন, হাফেজে কোরআন এবং নাবালগ সন্তান, নামায , রোজা , কোরান, ইত্যাদি
,
তাঁদের শাফায়াত কোরআন-হাদীসের অকাট্য প্রমাণাদি দ্বারা প্রমানিত। তাদের মধ্যে সায়্যিদুশ শুফাআ বা শাফাআতকারীদের সর্দার হলেন বিশ্বনবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । যেমন তিনি বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﺃَﻭَّﻝُ ﺷَﺎﻓِﻊٍ ﻭَ ﺃَﻭَّﻝُ ﻣُﺸَﻔَّﻊٍ ( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
“আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার শাফাআতই প্রথম গ্রহণ করা হবে। (বুখারী, মুসলিম)

তিনি আরও বলেছেন,
ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺛَﻼَﺛَﺔٌ : ﺍَﻟْﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀُ ﺛُﻢَّ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀُ ﺛُﻢَّ ﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀُ ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻭﺍﻟﺒﺰﺍﺭ )
“তিন শ্রেণীর লোক কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবেন, নবী-রাসূরগণ, আলেম-ওলামা বা পীর-মাশায়খ ও শহীদগণ”। (ইবনু মাজাহ, বাইহাকী ও বাজ্জার)
তিনি আরও বলেছেনঃ
ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﺍﻟﺸَّﻬِﻴْﺪُ ﻓِﻲ ﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻞِ ﺑَﻴْﺘِﻪ ( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ )
“শহীদ তার পরিবারের সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করবে”। (বর্ণনায় আবু দাউদ)
তিনি আরও বলেছেন।
ﺍِﻗﺮﺀﻭﺍ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﺷﻔﻴﻌﺎ ﻷﻫﻠﻪ ( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ )
“তোমরা কোরআন পাঠ কর। কেননা এ কোরআন তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হয়ে আবির্ভূত হবে”। (বর্ণনায় মুসলিম)

▣ হযরত উসমান ইবনে আফফান রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক সুপারিশ করবেনক এক. নবীগণ
দুই.  আলেমগণ

তিন. শহীদগণ।
_ইবনে মাজাহ, মেশকাত

▣ হযরত আনাস রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, জাহান্নামীগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন জান্নাতী এক ব্যক্তি তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে। এ সময় জাহান্নামীদের সারি হতে এক ব্যক্তি বললে, হে অমুক! তুমি কি আমাকে চিনতে পারনি? আমি সেই ব্যক্তি যে একদিন তোমাকে পানি পান করিয়েছিলাম। আর একজন বলবে, আমি সেই ব্যক্তি যে একদিন তোমাকে অজুর পানি দিয়েছিলাম। তখন সে জান্নাতী ব্যক্তি তার জন্য সুপারিশ করবে এবং জান্নাতে নিয়ে যাবে।_মেশকাত

❑ হযরত আবু সাঈদ রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি এমন হবে, যে বিরাট একটি দলের জন্য সুপারিশ করবে, কেউ একটি গোত্রের জন্য সুপারিশ করবে। আবার কেউ আপন আত্মীয়-স্বজনের জন্য সুপারিশ করবে, অথবা কেউ শুধু একটি লোকের জন্য সুপারিশ করবে। অবশেষে আমার সমস্ত (মুমিন) উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে। _মেশকাত

অতএব, এখানে বুঝা গেলো , যদি কেও এই পাঁচ ঔষুধ ( কোরান-হাদিস অনুযায়ী ) ঠিকমতো কেউ পালন করতে পারে, তাহলে আশা করা যায় তাদের কথামতো কোরান হাদিসের উপর পালন করার কারনে হয়তো আল্লাহর অলিরা কখনো তাদের মুরিদদের ছারা জান্নাতে যাবেন্না, সংগে নিয়েই যাবেন ইনশাআল্লাহ । এখানে গোত্রকেই জাহাজের সংগে তুলনা করা হয়েছে।।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...