পীর সাহেব চরমোনাই কোন জাহাজ নিয়ে জান্নাতে
যাবে সে প্রশ্নের উত্তর,ও ব্যাখ্যা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
চরমোনাইর পীর সাহেব বলেছেন, "কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কুতুবেরা বড় বড় জাহাজ নিয়ে জান্নাতে যাবে, তোমরা যদি এই তরিকার ঔষধ ঠিকমতো পালন করতে পারো ? তাহলে সেই জাহাজ তোমাদের ফালাইয়া জাবেনা, তোমাকেও তারা সুপারিশ করিয়া সংগে নিয়া যাইবো"
,
অথচো আমরা জানি একমাত্র নবী (সা:) ছারা কেউ সুপারিশ করতে পারবেনা, তাহলে চরমোনাইর পীর ভন্ড ?
@পরকালের সুপারিশ@
,
কোন পীরের ক্ষমতা নাই কাউকে সুপারিশ করে জান্নাতে নেওয়ার কিন্তু আল্লাহ যাকে সুপারিশ করার অনুমতি দিবেন , শুধুমাত্র তাঁরাই একমাত্র সুপারিশ করতে পারবেন , তবে আল্লাহ তায়ালা নবী (সা:) কে প্রথম সুপারিশের ক্ষমতা দিবেন, পরে নামাজ, রোজা , কোরান, এবং হক্কানী আলেম, হাফেজ , শহিদ, গাজী, মা-বাবা, সন্তান সহ আরো অনেককে সুপারিশ করার অনুমতি কোরান-হাদিস দ্বারা প্রমানিত,
,
যেমন : @ বিষয়:হক্কানী আলেম বা পীর মাশায়েখদের হাশরের ময়দানে সুপারিশ করা সম্বন্ধে @
যারা বলে একমাত্র নবী (সা:) ছাড়া আর কেউ হাশরের ময়দানে সুপারিশ করতে পারবেনা, আমি মনে করি তারা জাহেল । সুপারিশ কত প্রকার কি কি আগে বুঝতে হবে ।
শাফাআত কারা করবেনঃ
*************************
আদালতে আখিরাতে মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে যারা শাফাআত করবেন তারা হচ্ছেন, নবীগণ, ফিরিশতাবৃন্দ, শহীদগণ, আলেম-ওলামা
বা পীর-মাশায়খগন, হাফেজে কোরআন এবং নাবালগ সন্তান, নামায , রোজা , কোরান, ইত্যাদি
,
তাঁদের শাফায়াত কোরআন-হাদীসের অকাট্য প্রমাণাদি দ্বারা প্রমানিত। তাদের মধ্যে সায়্যিদুশ শুফাআ বা শাফাআতকারীদের সর্দার হলেন বিশ্বনবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । যেমন তিনি বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﺃَﻭَّﻝُ ﺷَﺎﻓِﻊٍ ﻭَ ﺃَﻭَّﻝُ ﻣُﺸَﻔَّﻊٍ ( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
“আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার শাফাআতই প্রথম গ্রহণ করা হবে। (বুখারী, মুসলিম)
তিনি আরও বলেছেন,
ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺛَﻼَﺛَﺔٌ : ﺍَﻟْﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀُ ﺛُﻢَّ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀُ ﺛُﻢَّ ﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀُ ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻭﺍﻟﺒﺰﺍﺭ )
“তিন শ্রেণীর লোক কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবেন, নবী-রাসূরগণ, আলেম-ওলামা বা পীর-মাশায়খ ও শহীদগণ”। (ইবনু মাজাহ, বাইহাকী ও বাজ্জার)
তিনি আরও বলেছেনঃ
ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﺍﻟﺸَّﻬِﻴْﺪُ ﻓِﻲ ﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻞِ ﺑَﻴْﺘِﻪ ( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ )
“শহীদ তার পরিবারের সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করবে”। (বর্ণনায় আবু দাউদ)
তিনি আরও বলেছেন।
ﺍِﻗﺮﺀﻭﺍ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﺷﻔﻴﻌﺎ ﻷﻫﻠﻪ ( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ )
“তোমরা কোরআন পাঠ কর। কেননা এ কোরআন তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হয়ে আবির্ভূত হবে”। (বর্ণনায় মুসলিম)
▣ হযরত উসমান ইবনে আফফান রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক সুপারিশ করবেনক এক. নবীগণ
দুই. আলেমগণ
ও
তিন. শহীদগণ।
_ইবনে মাজাহ, মেশকাত
▣ হযরত আনাস রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, জাহান্নামীগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন জান্নাতী এক ব্যক্তি তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে। এ সময় জাহান্নামীদের সারি হতে এক ব্যক্তি বললে, হে অমুক! তুমি কি আমাকে চিনতে পারনি? আমি সেই ব্যক্তি যে একদিন তোমাকে পানি পান করিয়েছিলাম। আর একজন বলবে, আমি সেই ব্যক্তি যে একদিন তোমাকে অজুর পানি দিয়েছিলাম। তখন সে জান্নাতী ব্যক্তি তার জন্য সুপারিশ করবে এবং জান্নাতে নিয়ে যাবে।_মেশকাত
❑ হযরত আবু সাঈদ রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি এমন হবে, যে বিরাট একটি দলের জন্য সুপারিশ করবে, কেউ একটি গোত্রের জন্য সুপারিশ করবে। আবার কেউ আপন আত্মীয়-স্বজনের জন্য সুপারিশ করবে, অথবা কেউ শুধু একটি লোকের জন্য সুপারিশ করবে। অবশেষে আমার সমস্ত (মুমিন) উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে। _মেশকাত
অতএব, এখানে বুঝা গেলো , যদি কেও এই পাঁচ ঔষুধ ( কোরান-হাদিস অনুযায়ী ) ঠিকমতো কেউ পালন করতে পারে, তাহলে আশা করা যায় তাদের কথামতো কোরান হাদিসের উপর পালন করার কারনে হয়তো আল্লাহর অলিরা কখনো তাদের মুরিদদের ছারা জান্নাতে যাবেন্না, সংগে নিয়েই যাবেন ইনশাআল্লাহ । এখানে গোত্রকেই জাহাজের সংগে তুলনা করা হয়েছে।।।