বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি ভবিষ্যতে বাংলিশ না লিখে বরং বাংলাতে লিখবেন।জাযাকাল্লাহ।
https://www.ifatwa.info/5512 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।
যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।
সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি সাহেবে তারতীব হলে, আপনাকে আবার ফজর নামায পড়ে তারপর জোহর আসর পড়তে হবে। আর যদি আপনি সাহেবে তারতীব না হন, তাহলে আপনাকে জোহর আসর আবার দোহড়াতে হবে না,বরং শুধুমাত্র ফজরের নামাযকে যেকোনো সময় কাযা আদায় করে নিলেই হবে।