বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1982
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ কে কটাক্ষ বা অবমাননা করা শিরকের পর সবচেয়ে বড় গোনাহ বা অপরাধ। মুসলিম এলাকায় কেউ এমন করলে, সেখানের সরকার সর্বোচ্ছ ও ভয়ানক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।এটা সরকারের উপর ওয়াজিব।
যেহেতু অমুসলিম দেশের একজন রাজনীতিবিদ এমনটা করেছেন, এখন সমস্ত মুসলিমের উপর ওয়াজিব সাধ্যমত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা।তাদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক চিহ্ন করা যতক্ষণ না সে ক্ষমাপ্রার্থনা করছে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আন্দোলন নাজায়েয হওয়ার কোনো কারণ নেই।রাসূলুল্লাহ সাঃ কে মহব্বত ঈমানের অংশ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক দেশের সকল নাগরিক অধিকার। সুতরাং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে শরীক হতে পারবেন।