বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/15409 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2729
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিন তালাক পতিত হওয়ার পর উক্ত স্বামী স্ত্রী আর একত্রে বসবাস করতে পারবে না। তবে হ্যা যদি ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়,এবং কোনো কারণে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়,তখন আবার সে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না।এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত পরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল,পাথর মেরে হত্যা করা।তবে এ দায়িত্ব সরকারের জনগণের নয়।আর অাখেরাতে তো রয়েছে এর জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তি।
টাকা দিয়ে কারো কাছে বিয়ে দিয়ে আবার তালাক নিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মাকরুহে তাহরিমী। তবে যদি ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হলেও প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
তিন তালাক হওয়ার পর তাওবাহ দ্বারা কাজ হবে না।উক্ত স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের জন্য কখনো হালাল হবে না।
(২)
যদি তাদের পরস্পর দেখা সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকে , এবং ছেলে মেয়ে বড় থাকে, তাহলে তারা পৃথক পৃথক রুমে একই ছাদের নিচে থাকতে পারবে।তবে সর্বদাই গায়রে মাহরামের মতই থাকতে হবে।
(৩)
জ্বী, মাহরাম ছাড়া খাদেমা রাখতে পারবে।