আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ,

নোট:আপানর উত্তর পাওয়ার পর কথাটা বলতেছি আমাকে সাহায্য করেন ।সুস্পষ্ট মতে তালাকের কোনো নিয়ত ছিলো না আমার মাঝে । কিন্তু শয়তানের বিভিন্ন ওয়াসা নাকি মনের ওয়াসা ওয়াসা বুঝতেছি না তালাকের নিয়ত ছিলো কি না । তবে আমার যতটুটু সুস্পষ্ট মতে তালাকের নিয়ত ছিলো না ।কথা টা জোর দিয়ে ও বলতে পারছি না আদৌ কি ছিলো ? নাকি ছিলো না বলতে পারছি না জোর দিয়ে।

তবে বিভিন্ন ধোকা আসে ।তাই নিজেই বিস্মিত তালাকের নিয়ত কি আদৌ ছিলো ? বুঝে উঠে পারতেছি না ব্যাপারটা । কি করবো আমি এখন বলেন এমতাবস্থায় ?

 নোট: কি করা উচিত আমারএখন? বিয়ে করা উচিত হবে ঔ মেয়েকে এখন আমার ?

ঘটনা:

আমি একদিন আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে বললাম যে আল্লাহ কসম করে বলছি আমি আর কখনো হস্তমৈথন করবো না । যদি করি তাহলে আমি একটা মেয়ে কে ইন্ডিকেট করে বলছি যদি করি তাহলে ওকে বিয়ে করলে হারাম হিসাবে কবুল করবা ।
 আমি ওয়াদা রাখতে পারি নি ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/46543 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
হারাম শব্দ দ্বারা যেহেতু আপনি তালাকের নিয়ত করেন নাই, তাই হস্তমৈথুন করার পরও আপনার জন্য ঐ মেয়েকে বিয়ে করা হারাম হবে না।

(২)
https://www.ifatwa.info/3101 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
কসম সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণনা করা হয় যে, 
কসম দুই প্রকারঃ (১) আল্লাহ বা তার সিফাতের উল্লেখপূর্বক কসম করা (২) আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা। আর তা হচ্ছে, শর্ত ও জাযা । 
আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা আবার দুই প্রকার। যথাঃ (১) বাপ,দাদা ও নবী এবং নামায রোযা ইত্যাদির নাম উল্লেখপূর্বক কসম করা। এটা নাজায়েয। (২) শর্ত এবং জাযা উল্লেখপূর্বক কসম করা। তা আবার দুই প্রকার, যথা- (ক) যেখানে জাযা কোনো প্রকার ইবাদত থেকে হবে, যেমন যদি আমি ঐ কাজ করি, তাহলে আমার উপর রোযা ওয়াজিব। (খ) অথবা জাযা ইবাদতের মধ্য থেকে হবে না। যেমন, আমি যদি ঐ কাজ করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক বা আমার গোলাম আযাদ।  
(وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِاَللَّهِ) فَذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ، أَوْ صِفَتِهِ، وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِغَيْرِهِ فَذِكْرُ شَرْطٍ صَالِحٍ، وَجَزَاءٍ صَالِحٍ كَذَا فِي الْكَافِي
«الفتاوى الهندية» (2/ 51)
কসমের রুকুন হল, আল্লাহ শব্দ বা আল্লাহর কোনো সিফাত তাতে উল্লেখ থাকা। আর বিশুদ্ধ ও উপযোক্ত শর্ত এবং জাযা উপস্থিত থাকা। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর নাম উল্লেখ পূর্বক কোনো করা বা না করাকে জরুরী করে নিলেই কসম হয়ে যাবে।কাফফারা চলে আসবে।(শেষ)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তালাকের নিয়ত ছিল কি না? সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তালাকের নিয়ত না থাকার মতই। সুতরাং ঐ মেয়েকে বিয়ে করার দ্বারা ঐ মেয়ে হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...