বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
এ সম্পর্কে পাকিস্তান শরয়ী কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মুফতী তাক্বী উসমানী (দাঃবাঃ) এক প্রশ্নের জবাবে বলেনঃ
সহশিক্ষা নাজায়েয ও হারাম। তবে বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় দ্বীনদারের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।সরকারী-বেসরকারি সমস্ত পদ-পদবীতে অমুসলিম -ফাসিকদের জয়জয়কার।
(আমি বলবঃআজ এই দেখুন আমাদের বাংলাদেশ! যেখানে সব কর্তৃত্ব অমুসলিম এবং বেদ্বীনদের হাতে।তাই বললে ভূল হবে না যে,
অমুসলিমরা জনসংখ্যা অনুপাতে সংখ্যালগু হলেও তারা সরকারী পদ-পদবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ)
সুতরাং বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)(রদ্দুল মুহতার,১/৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ফুকাহায়ে কেরাম সহশিক্ষার অনুমতি দিয়ে থাকেন, তাই আপনি যথাসম্ভব নিজেকে ফিতনা মুক্ত রাখার চেষ্টা করে মেডিকেল কলেজে পড়তে পারবেন। শিক্ষিকার দিতে থাকানো ব্যতিত যদি মনযোগ না আসে, তাহলে আপনি থাকাতে পারবেন। তবে অন্তরে আল্লাহর ভয় রাখবেন। আপনার প্রতি বিশেষ পরামর্শ হল, আপনি যত দ্রুত সম্ভব বিয়ের পিড়িতে বসে যাবেন।তখন শয়তান আপনাকে কোনো প্রকার ধোকা দিতে পারবে না।