ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির সাথে ক্রমান্বয়ে চারটি হক রয়েছে।
১. অপচয় ও কার্পণ্য ছাড়া তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।
২. অবশিষ্ট সম্পদ থেকে তা ঋণ পরিশোধ করা। (যদি
ঋণ থাকে)
৩. ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সমুদয় সম্পদের এক তৃতীয়াংশ
দ্বারা অসিয়ত পূরণ করা। (যদি শরীয়ত সম্মত অসিয়ত করে থাকে।)
৪. তারপর অবশিষ্ট সম্পদ তার ওয়ারিশদের মাঝে ফারায়েজ মোতাবেক বন্টন করা হবে।
হযরত আবু উমামা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ
সাঃ বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺪْ
ﺃَﻋْﻄَﻰ ﻛُﻞَّ ﺫِﻱ ﺣَﻖٍّ ﺣَﻘَّﻪُ ، ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَﺍﺭِﺙٍ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক হক্বদারকে তার প্রাপ্য হক্ব
(নির্ধারণ)করে দিয়েছেন।সুতরাং ওয়ারিছদের জন্য আর কোনো ওসিয়্যাত নেই।
অর্থাৎ-মূত্যুর পরে কাউকে কিছু দানের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ওসিয়ত হয়ে যায়,আর নিজ ওয়ারিছদের মধ্য থেকে কারো জন্য ওসিয়ত
করা জায়েয নয়।তবে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য কারো জন্য এক তৃতীয়াংশ মালে ওসিয়ত করা জায়েয
আছে। (সুনানে আবু-দাউদ-২৮৭০সুনানে তিরমিযি-২১২০সুনানে নাসাঈ-৪৬৪১ইবনে মাজাহ-২৭১৩)
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ
فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন
করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ
থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ -
ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ - ﻋَﻦِ اﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ
- ﻗَﺎﻝَ: «ﻻَ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَاﺭِﺙٍ، ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺸَﺎءَ اﻟْﻮَﺭَﺛَﺔُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই,তবে যদি অন্যান্য সমস্ত ওয়ারিছরা রাজি থাকে
তাহলে জায়েয আছে। (মিশকাত-৩০৭৪)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনার প্রশ্নের মধ্যে অস্পষ্টতা আছে তাই বিস্তারিত উত্তর
দেওয়া সম্ভব না। কারণ আপনার মৃত ছেলের নিকট আত্মীয়ের মধ্যে কে কে বেঁচে আছে?
১. না, আগের তরফের কন্যা কোনো সম্পদ পাবে না। তবে স্ত্রী পাবে (যদিও
তার এখন অন্য জায়গায় বিয়ে হোক)। সে আপনার ছেলের সমস্ত সম্পদের আট ভাগের এক ভাগ
পাবে। আর আপনার ছেলের ঔরসের কন্যা
সন্তান সমস্ত সম্পদের অর্ধেক পাবে। আবার
আপনি ও আপনার স্ত্রীও কিছু নির্দিষ্ট
সম্পদ পাবেন।
২. আপনার ছেলের ঔরসের কন্যা সন্তান শুধু আপনাদের সম্পদ থেকে পাবে। এছাড়া অন্য
কেউ (আপনার ছেলে স্ত্রী ও আগের তরফের কন্যা) পাবে না।