জবাবঃ-
আল্লাহর প্রিয় বান্দা কে বা কারা তা ওহীর জ্ঞান ব্যতীত অন্য কোনোভাবেই নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয়।
যিনি কোরআন এবং হাদীসকে পুরোপুরিভাবে মেনে চলবেন শুধুমাত্র তার শরীয়ত সম্মত আদেশকেই মেনে চলা যাবে।
এবং শরীয়ত সম্মত তার আদেশাদিকে পালন করে তার সন্তুষ্টি আশা করা যাবে।
এতে তো কোনো শরয়ী বিধি-নিষেধ নেই।
তবে এক্ষেত্রে তার সন্তুষ্টি অর্জনই কেবল নাজাতের উসিলা হবে!
বিষয়টা আসলে এমন নয়।
যদিও তিনি ইলমে দ্বীনের প্রচার-প্রশারের কথাটুকুই বলে থাকেননা কেন?
বরং সর্বক্ষেত্রে ইলমে দ্বীনের প্রচার-প্রশার বা সবরকম ভাল কাজ-ই তার নাজাতের উসিলা হবে।
উনি শরীয়ত সম্মত যা কিছুই বলেন না কেন?সর্বক্ষেত্রে ঐ সমস্ত জিনিসই তার নাজাতের উসিলা হবে।কোনো মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন নাজাতের উসিলা তো হবেই না।এমনকি অন্য কিছুও কখনো হবে না।
যেমন গুহায় বন্ধী হয়ে যাওয়া তিন ব্যক্তির এক ব্যক্তি চাচাতো বোনের সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি আল্লাহর হুকুম মানা সম্পর্কে দু'আ করেনি বরং সে ঐ খারাপ কাজ থেকে পরিত্রাণ ও ভাল কাজের দুহাই দিয়ে দু'আ করেছিল।এবং অপর ব্যক্তিদ্বয়ওনিজ কৃতকাজের দুহাই-ই দিয়েছিলো। যার ফলশ্রুতিতে তারাও নাজাত পেয়েছিল।
ইমাম মুসলিম রাহ উক্ত হাদীসের শিরোনাম উল্লেখপূর্বক বলেন,
ﺑﺎﺏ ﻗﺼﺔ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﻐﺎﺭ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ ﻭﺍﻟﺘﻮﺳﻞ ﺑﺼﺎﻟﺢ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ
গুহার তিন সাথীবৃন্দ ও ভাল কাজের ওসিলা গ্রহণ সম্পর্কিত অধ্যায়।
তিনি তথায় ২৭৪৩নং হাদীসে উল্লেখ করেন,
ﻓﻘﺎﻝ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻟﺒﻌﺾ ﺍﻧﻈﺮﻭﺍ ﺃﻋﻤﺎﻻ ﻋﻤﻠﺘﻤﻮﻫﺎ ﺻﺎﻟﺤﺔ ﻟﻠﻪ ﻓﺎﺩﻋﻮﺍ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﻬﺎ ﻟﻌﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻔﺮﺟﻬﺎ ﻋﻨﻜﻢ
তরজমাঃ
অতঃপর তারা পরস্পর বলাবলি করিতে আরম্ব করিল,
দেখোতো! জীবনে কেউ কোনো ভাল কাজ করেছো কি?
করলে, তার ওসিলা গ্রহণ করে আল্লাহর কাছে দু'আ করো, সম্ভবত আল্লাহ তা'আলা সেই বিপদকে তোমাদের কাছ থেকে সরিয়ে নিবেন।
ইমাম নববী উক্ত হাদীসের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেন,
) ﺍﺳﺘﺪﻝ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻰ [ ﺹ : 215 ] ﺃﻧﻪ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻺﻧﺴﺎﻥ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻓﻲ ﺣﺎﻝ ﻛﺮﺑﻪ ، ﻭﻓﻲ ﺩﻋﺎﺀ ﺍﻻﺳﺘﺴﻘﺎﺀ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﺑﺼﺎﻟﺢ ﻋﻤﻠﻪ ، ﻭﻳﺘﻮﺳﻞ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﻪ ; ﻷﻥ ﻫﺆﻻﺀ ﻓﻌﻠﻮﻩ ﻓﺎﺳﺘﺠﻴﺐ ﻟﻬﻢ
ভাবার্থঃ
এই হাদীস দ্বারা আমাদের উলামায়ে কেরামগণ দলীল পেশ করে থাকেন,মানুষের জন্য বিভিন্ন বিপদাপদে নেক কাজের ওসুলা গ্রহণ করে দুআ করা মুস্তাহাব।
যা কবুল হওয়ার আশাব্যঞ্জক।