আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার খালার পক্ষ থেকে প্রশ্নটি করছি উস্তাজ।
উনি একজন সরকারী চাকরীজিবি ; স্কুল শিক্ষক। সরকার কর্তৃপক্ষ পক্ষ থেকে উনাদের বেতনের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেটে নিয়ে ব্যাংকে জমা রাখা হয় যেটা পেনশনের অর্থের সাথে যুক্ত হবে। উক্ত অর্থেথে জমাকৃত পরিমানের উপর নির্দিষ্ট সুদ/ইন্টারেস্ট যুক্ত হয়। প্রতি লাখে ১৩০০০ টাকা আসবে। অর্থাৎ ১০০০ জমা থাকলেও তাতেও ১৩% হিসাবে  ইন্টারেস্ট আসবে।
উনি রিসেন্টলি এপ্লিকেশন জমা দিয়েছেন যাতে করে উনার একাউন্টে জমাকৃত অর্থে সুদ না যুক্ত হয়। ;আগামী জুলাই মাসে তা কার্যকর হবে।তবে উনার বাসা থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে উক্ত অর্থ ব্যাংক থেকে পরবর্তীতে উত্তোলন করা হয় যেন ; তারপর তা কাউকে সওয়াবের নিয়্যাত ছাড়া দান করে দিতে।উনি সুদ নিলেন না এবং অন্য কারো উপকারও হলো যদিও তাতে সওয়াবের আশা করা হবেনা। কারণ এপ্লিকেশন না দিলে ঐ টাকাটা একাউন্টে আসতোই যখন তখন উপরে উল্লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন উনার পরিবারের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে।
খালা খুব দ্বীধায় আছেন। উনি হয়তো উক্ত অর্থ থেকে ফায়দা নিবেন না কিন্তু যেহুতু এই অর্থ এখন উত্তোলন করা যাবেনা। টাকাটা ব্যাংকে জমা হতে থাকবে। এক্ষেত্রে উনার ভয় যে আমি তো সুদ নিচ্ছি নিজের একাউন্টে যদিও তা নিজের কাজে লাগাবোনা কিন্তু একাউন্টে জমা হতে থাকার জন্য কি তার কোনো গুনাহ হবে কি না....
প্রশ্ন দীর্ঘ করার জন্য দুঃখিত।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)


https://www.ifatwa.info/1246 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড

প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স

অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।

কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে। 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1246

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বেতনের যেই টাকা বাধ্যতামূলক ভাবে কেটে নেয়া হয়েছে,এটি যেহেতু তার হস্তগত হয়নি,আর কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে কেউ যেহেতু কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।

তাই যখন তিনি উক্ত টাকার মালিকই হননি,তখন তিনি কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবেন।
তাই এটিকে সূদ বলা হবেনা।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অতিরিক্ত টাকা আপনার খালার একাউন্টে জমা হলে সমস্যা নেই।
যদি সেই টাকা তিনি উত্তোলন করে ভোগ করেন,তবুও জায়েজ আছে।
সদকাহ করাও জায়েজ আছে।

প্রশ্নে উল্লেখিত এপ্লিকেশন দিয়ে সেই অতিরিক্ত টাকা একাউন্টে যুক্ত না করার সিদ্ধান্তও বৈধ।

তার একাউন্টে এই টাকা জমা হলেও তার গুনাহ হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...