জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ
অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}
★নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতিঃ
পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ যথা-
(ক) দৃশ্যমান নাজাসত
(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত
(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।
(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)
,
আল্লামা হাসক্বাফী রহঃ লিখেন,
لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.
যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার আন্ডার প্যান্টে পেশাব লেগে থাকে,তাহলে সেটি পাক করার জন্য তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে।
তাহলে সেই আন্ডার প্যান্ট পাক হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি তিনবার ধুয়ে থাকেন,এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে থাকেন,তাহলে পায়জামা নাপাক হবেনা।
( গেঞ্জি নাপাক হওয়ার তো কোনো ছুরতই নেই।)
আর যদি তিনবারের কম ধুয়ে থাকেন,তাহলে পায়জামাতে আন্ডার প্যান্টের ভেজা লাগার কারনে পায়জামা যদি এতোটা ভিজে যায় যে তাহা চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে।
অথবা সেখানে পেশাবের গন্ধ পাওয়া যায়।
তাহলে পায়জামা নাপাক হয়ে যাবে।
আর যদি তাহা চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের না হয়,
অথবা সেখানে পেশাবের গন্ধ পাওয়া না যায়।
তাহলে পায়জামা নাপাক হয়ে যাবেনা।
পাকই থাকবে।
গেঞ্জি সব ছুরতেই পাক থাকবে।
,
(০২)
যদি আপনার জানামতে কাদাতেই নিশ্চিত নাপাক থাকে,তাহলে সেই কাদা দূর করতে হবে,তারপর পুনরায় ধৌত করার পর তাহা পাক হবে।
আর যদি কাদাতেই নাপাকি না থাকে,তাহলে তো পাক করার আবশ্যকীয়তা নেই।