জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আস্তাগফিরুল্লাহ/ ইনশাআল্লাহ/ সুবহানআল্লাহ/ আলহামদুলিল্লাহ/ আল্লাহু আকবার/ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম এবং অন্যান্য দুয়া/তাসবিহ কিনায়া শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারেনা।
এগুলো হলে তালাকের নিয়ত করলে তালাক হবেনা।
,
এমনকি যদি স্পষ্ট বাক্যে তালাক দেয়ার সাথে সাথে ইনশাআল্লাহ,সুবহানাল্লাহ,মাশাআল্লাহ বলে,সেক্ষেত্রে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দেয়া সত্ত্বেও তালাক হবেনা।
★শরীয়তের বিধান হলো ইনশাআল্লাহ বলে তালাক দিলে তালাক হয় না। কারণ ইনশাআল্লাহ মানে হলো, আল্লাহ যদি চান। আর আল্লাহর ইচ্ছা সম্পর্কে কেউ অবগত নয়। তাই তালাক হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن إبراهيم قال: إذا حلف الرجل، فقال: إن لم يفعل كذا وكذا فامرأته طالق إن شاء الله فحنث، لم تطلق امرأته
‘ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি কসম করে যে, সে অমুক কাজ না করলে ইনশাআল্লাহ তার স্ত্রী তালাক। এরপর সে যদি কসম ভঙ্গ করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবে না।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১১৩২৭]
,
তালাকের সাথে ইনশাআল্লাহ বললে তালাককে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার সাথে শর্তযুক্ত করা হয়। তাই ইনশাআল্লাহ বলে তালাক দেওয়ার অর্থ হল আল্লাহ যদি চান তাহলে স্ত্রী তালাক। এই শর্তটি পাওয়া যাওয়ার বিষয়ে যেহেতু নিশ্চিত হওয়া যায় না তাই ইনশাআল্লাহ বলে তালাক দিলে তালাক কার্যকর হয় না।
ইমাম মুহাম্মাদ রাহ. তার কিতাবুল আছারে ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, কোনো ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে ইনশাআল্লাহ তুমি তিন তালাক। তার এ কথার দ্বারা স্ত্রীর উপর কোনো তালাক পতিত হবে না। -কিতাবুল আছার ৫১১
তালাক বলার সাথে সাথে যদি “সুবহানাল্লাহ” ও “মাশাআল্লাহ” বলা হয়ে থাকে, তাহলেও কোন তালাক পতিত হয়না।
বিস্তারিত জানুনঃ