জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিস শরীফে এসেছে যে, اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى وَارْحَمْنِى وَعَافِنِى وَارْزُقْنِى এ দুআ দুই সেজদার মাঝে পড়বে।
এই দু’আটি দুই সিজদার মাঝে পড়া মুস্তাহাব। ফরজ বা ওয়াজিব কিংবা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয়। তাই এটি ছেড়ে দিলে কোন গোনাহও হবেনা। বা নামাযে কোন খারাবীও আবশ্যক হবেনা। এই দুআটি একাকি নামায পড়ার সময়, কিংবা নফল নামায পড়ার সময়, তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সময় পড়া উত্তম।
ইমামের জন্য এই দুআটি পড়া তখন জায়েজ হবে, যদি এতটুকু পরিমাণ দেরী করলে মুসল্লিদের মাঝে বিরক্তি না আসে তাহলে তার জন্য পড়া জায়েজ। অন্যথায় জায়েজ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
سنن أبى داود – حدثنا محمد بن مسعود حدثنا زيد بن الحباب حدثنا كامل أبو العلاء حدثنى حبيب بن أبى ثابت عن سعيد بن جبير عن ابن عباس أن النبى -صلى الله عليه وسلم- كان يقول بين السجدتين « اللهم اغفر لى وارحمنى وعافنى واهدنى وارزقنى (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب الدعاء بين السجدتين، رقم الحديث-850)
অনুবাদঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ দুই সেজদার মাঝে পড়তেনঃ
« اللهم اغفر لى وارحمنى وعافنى واهدنى وارزقنى
কিছু হাদীসে অন্য দোয়াও এসেছেঃ
: «رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي».
অর্থ : বাংলা অর্থ : হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। [আবূ দাউদ ১/২৩১, নং ৮৭৪; ইবন মাজাহ্ নং ৮৯৭। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ,
১/১৪৮।]
: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي».
অর্থ : “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন”।
[হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযী, নং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৯০; সহীহ ইবন মাজাহ ১/১৪৮। ]
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
فى رد المحتار( ويجلس بين السجدتين مطمئنا ) لما مر ، ويضع يديه على فخذيه كالتشهد منية المصلي ( وليس بينهما ذكر مسنون ، وكذا ) ليس ( بعد رفعه من الركوع ) دعاء ، وكذا لا يأتي في ركوعه وسجوده بغير التسبيح ( على المذهب ) وما ورد محمول على النفل،
দুই সেজদার মাঝে ইতমিনানের সাথে বসবে,,,,যেই সমস্ত দোয়া হাদীস শরীফে এসেছে, তা নফলের ভিতর পড়বে।
وفيه ايضا- ( قوله محمول على النفل ) أي تهجدا أو غيره خزائن .وكتب في هامشه : فيه رد على الزيلعي حيث خصه بالتهجد .ا هـ .ثم الحمل المذكور صرح به المشايخ في الوارد في الركوع والسجود ، وصرح به في الحلية في الوارد في القومة والجلسة وقال على أنه إن ثبت في المكتوبة فليكن في حالة الانفراد ، أو الجماعة والمأمومون محصورون لا يتثقلون بذلك(رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، فروع قرأ بالفارسية أو التوراة أو الإنجيل-2/212-213)
যার সারমর্ম হলো যদি ফরজ নামাজ একাকি অবস্থায় পড়ে,তাহলে বর্ণিত এ দোয়া গুলো পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
হ্যাঁ যদি জামাতে নামাজ পড়ায়,তাহলে যদি এতটুকু পরিমাণ দেরী করলে মুসল্লিদের মাঝে বিরক্তি না আসে তাহলে তার জন্য পড়া জায়েজ। অন্যথায় জায়েজ নয়।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ২/২১২)
★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইয়াম সাহেব ফরজ নামাজে পড়তে চাইলে, উপরে উল্লেখিত শর্তের ভিত্তিতে পড়তে পারবে।
আর যদি সে মুক্তাদী হয়,তাহলে এতটুকু পড়ার সময় পেলে পড়তে কোনো সমস্যায় নেই।
« اللهم اغفر لى وارحمنى وعافنى واهدنى وارزقنى
,