আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (57 points)
হুযুর আমি বেস কিছু দিন ধরে তালাক বিসয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে এখন সব সময় সুধু এটার চিন্তাই মাথায় আসে, আমি না চাইলেও সব সময় এটাই ভাবতে থাকি,  (((((কখনও ভাবতে ভাবতে নিজের উপর মনে মনে তালাক নিয়ে ফেলি)))))) (((((এমন অনেক বার হয়েছে আমি মনে মনে নিজের উপড় তালাক নিয়ে ফেলেছি,  কিন্তু আমি ত নিতে চাইনা,  কিন্তু মনে মনে মনে  বলে ফেলি,))))  কখনো আবার মনকে বুযানর জন্য মনের উপর জর দিয়ে বলি, মনে মনে  বলি কিন্তু জোরে জোরে   বলি  ( তালাক নিলাম না)))))  কিন্তু কিছুখন আবার বলি (((((( নিজের উপর তালাক নিলাম,)))))) কখনো মনে মনে জোরে জোরে  বলি আবার কখনো আস্তে আস্তে বলি) ))))  সবই কিন্তু  মনে মনে বলি (((((শব্দ করি না)))))
হুযুর আমি এসব থেকে বের হতে চাই কিন্তু কিছুতেই মাথা থেকে বের হচ্ছে না
আমি মুখ খুলতেও  ভয় পাই যদি মুখ দিয়ে শব্দ বের হয় এই ভয় এ
১)))))হুযুর এই অবস্থায় আমি যদি মুখ দিয়ে কিছু বলে ফেলি,  নিজের উপর শব্দ করে তালাক নিয়ে ফেলি তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে আমার তালাক নেওএর অধিকার আছে, এখন কাবিন নামায় সবাইকে যেভাবে দেওয়া হয় আমারও দেওয়া আছে, এখন নাকি অধিকার দিতেই হয় এটাই নাকি আইন, আমার সামি আমাকে তাই বলেছে

২)))) আমি(((((( অনেক বার))))) ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ((((((৷ মনে মনে))))) কিন্তু জোরে জোরে মানে হচ্ছে মনে মনে  জোর দিয়ে বলি আরকি  , আবার কখন  মনে মনে  কিন্তু   আস্তে আস্তে,  তালাক নিয়ে ফেলেছি, (((((এরকম অনেক বার হয়েছে))))  (((( অনেক দিন হয়েছে)))))কিন্তু কখনো((( শব্দ করে উচ্চারণ))) করি নাই,  এতে কি তালাক হয়ে যায়
৩)))) এই অবস্থায় আমার কি করা উচিত,  আমার সামি কাবিন নামায় অধিকার দিয়েছে এখন কি  সেই অধিকার আবার তুলে নেওয়া যায়,  মানে হচ্ছে আমি যদি এখন এই অধিকার না চাই,  সে কি মুখে বললেই হবে যে তালাকের অধিকার তুলে নিলাম
৪))))  কেনায়া তালাক নিয়ে সন্দেহের কারনে কেও কি আবার বিয়ে করতে পারবে সন্দেহ থেকে বাচার জন্য

1 Answer

0 votes
by (565,650 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো, মুখ থেকে আওয়াজ বের না হওয়ার ছুরতে কোনো তালাক পতিত হবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
   
قال في الدر فلو طلق أو استثنی ولم یسمع نفسہ لم یصح في الأصح (درمختار شامی: ۱/۳۹۵)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাক দেয়,বা ইস্তেছনা করে,নিজে নিজে যদি তাহা শুনতে না পারে,তাহলে উক্ত তালাক সহীহ হবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
হ্যাঁ তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

(০২)  
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এই অধিকার তুলে নেয়া যায়না।

(০৪)
সন্দেহের কারনে তালাক হয়না।
,
কেহ চাইলে এভাবে আবারো বিবাহ পড়িয়ে নিতে পারবে,তবে এটি শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যকীয় নয়। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে আপনার জন্য পরামর্শঃ  
আপনি তালাক সংক্রান্ত কোনো বিষয় মাথায় আসতে দিবেননা।
আসলেই অন্য কথায়/অন্য কাজে মনোযোগী হয়ে যাবেন।
তালাক সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা পড়বেননা।
তালাক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা।
তালাকের বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তাই করবেননা।
তাহলেই এ সমস্যার সমাধান মিলবে।
ইনশাআল্লাহ্।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...