জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
★শরীয়তের বিধান হলো, যে ব্যাক্তি কোনো অন্য ব্যাক্তিকে করজের পদ্ধতিতে টাকা দেয়,তাহলে তার মালিক করজ দাতাই থাকবে।
সুতরাং যদি সেই টাকা একাকী ভাবে অথবা অন্য সম্পদের সাথে মিলে নেসাব পরিমান সম্পদের দিকে পৌছে,এবং সেই করজ এর টাকা ফেরত পাওয়ার আশা থাকে,তাহলে করজদাতার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
তবে যদি সেই ব্যাক্তির নিকট বর্তমানে নগদ টাকা না থাকে,প্রয়োজন অতিরিক্ত এতটুকু সম্পদ না থাকে,যে যেটাকে বিক্রয় করে কুরবানী দিতে পারে,এবং করজ গ্রহিতারা কুরবানির দিন গুলোর মধ্যে কুরবানী দেয়ার মতো টাকা ফেরত দিতে রাজি না হয়,তাহলে সেই ছুরতে সেই ব্যাক্তির উপর করজ নিয়ে কুরবানী দেয়া আবশ্যক হবেনা।
فتاوی بزازیہ
:’’لہ دین حال علی مقر ولیس عندہ مایشتر یھا بہ لایلزمہ الاستقراض ولا قیمۃ الاضحیۃ اذا وصل الدین الیہ ولکن یلزمہ ان یسال منہ ثمن الاضحیۃ اذا غلب علی ظنہ انہ یعطیہ ‘‘
(فتاوی بزازیہ،جلد2،صفحہ406،قدیمی کتب خانہ،کراچی)
সারমর্মঃ-
কোনো ব্যাক্তি কাউকে ঋন দিয়েছে,তার কাছে এতটুকু টাকা,সম্পদ নেই,যাহা দ্বারা সে কুরবানীর পশু ক্রয় করতে পারে,তাহলে তার উপর কুরবানী দেয়ার জন্য করজ নেয়া আবশ্যক নয়,পরবর্তীতে করজের টাকা হস্তগত হলে সদকাহ করাও আবশ্যক নয়।
فتاوی عالمگیری
:’’ولو کان علیہ دین بحیث لو صرف فیہ نقص نصابہ لا تجب وکذا لو کان لہ مال غائب لا یصل إلیہ فی أیامہ‘‘
(فتاوی عالمگیری،کتاب الاضحیۃ ،جلد5،صفحہ292،مطبوعہ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কাহারো যদি সম্পদ গায়েব হয়,তাহা যদি কুরবানীর দিন গুলোতে পাওয়া না যায়, তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
البحرالرائق :
"وكذا لو كان له مال غائب لايصل إليه في أيام النحر؛ لأنه فقير وقت غيبة المال حتى تحل له الصدقة بخلاف الزكاة فإنها تجب عليه ؛ لأن جميع العمر وقت الزكاة وهذه قربة موقتة فيعتبر الغنى في وقتها ولايشترط أن يكون غنياً في جميع الوقت حتى لو كان فقيراً في أول الوقت ثم أيسر في آخره يجب عليه لما ذكرنا". (10/254)
সারমর্মঃ
কাহারো যদি সম্পদ গায়েব হয়,তাহা যদি কুরবানীর দিন গুলোতে পাওয়া না যায়, তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কুরবানীর পশু ক্রয়ের মতো আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা/সম্পদ না থাকে,আর কুরবানী ক্রয়ের মতো করজ গ্রহিতারা যদি কুরবকনীর দিন গুলোর মধ্যে আপনাকে না দেয়,তাহলে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।
যাকাতের ক্ষেত্রে মাসয়ালা হলো, উক্ত অবস্থায় যাকাত ফরজ হবে।
তবে এখনই আদায় করা আবশ্যক হবেনা।
বরং টাকা হস্তগত হওয়ার পর যেই বছর থেকে যাকাত অনাদায়ী রয়েছে,সেই বিগত বছর গুলোরও যাকাত দিতে হবে।
(০২)
আপনার বাবা যে লোন নিয়েছেন, এর বছরান্তের আদায়যোগ্য কিস্তি ছাড়া যদি আপনার বাবার কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলার রূপার সমমূল্য টাকা বাকি থাকে, তাহলে আপনার বাবার উপর যাকাত আদায় করা আবশ্যক।
বিস্তারিত জানুনঃ