আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in পবিত্রতা (Purity) by (38 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমার ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে খুব ভুক্তভোগী। ছোটবেলায় শ্বাসকষ্ট(এজমা)ধরা পড়েছিল,এখন যদিও তেমন নেই,কিন্তু মাঝে মাঝে অনুভব করি। আজকে অনেক দিন ধরে ঠান্ডা-কফ লেগেই আছে।টনসিল আছে গলায়।হয়তো এটা ফ্যানের বাতাসের জন্য।কিন্তু পানি ধরলে,বেশি ব্যবহার করলে ঠান্ডা আর যায় না।শুনেছি,ঠান্ডা এভাবে চলতে থাকে নিউমোনিয়াতে গড়ায়। সকালে ফজরে ওযু করলে হাঁচি দিতে দিতে আর থামে না,আর ঠান্ডায় সর্দি এবং কফ লেগে থাকে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে।ভালো হয় না। আর আমার যেহেতু ওসিডির সামান্য সমস্যা আছে,ওযু করতে গেলে অনেক বেশি সময় পানিতে কাটিয়ে দেই,সাথে ওযু ভেঙে যায় পেটের সমস্যার কারণে(প্রায় সময় খুবই গ্যাস হয়),তখন বার বার ওযু করে আরও ঠান্ডা বাড়ে।কিন্তু আবার ওযু করে ফরজ আদায়ের মতো সময় থাকে।অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমি মাজুর না।প্রতি ওয়াক্তে একবার ওযু আমার জন্য খাটবে না।কিন্তু ঠান্ডার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার দিক থেকে কী আমি য়াতাম্মুম করতে পারবো,প্রতি ওয়াক্তে একবার করলে কী হবে?
আর,ওযু হয়েছে কি হয়নি সেজন্যও দেখা যায় ওয়াসওয়াসায় অনেকবার করে ধৌত করি।ঠান্ডা বেড়ে যায় এতে।যখন ওয়াস ওয়াসা কম হয়,তখনও পানি ব্যবহারে ঠান্ডার সমস্যা বেড়ে খারাপ অবস্থা হয়।

মূল সমস্যা হলো,ঠান্ডাজনিত সমস্যা উত্তোরত্তর বেড়েই চলেছে।আজকে অনেকদিন হলো কফ,সর্দি,টন্সিল এর সমস্যা অনেক আগে থেকেই। এক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি?তায়াম্মুম কী আমার জন্য বৈধ হবে?না,আমার ওযু করা আবশ্যক?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/938 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করতে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)

ফরয গোসলের তায়াম্মুম করে নিলে, আর নতুনকরে অজু করতে হবে না, বরং উক্ত তায়াম্মুম গোসল ও অজুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে।

https://www.ifatwa.info/5269 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)

(জমিন ছাড়া) মাটি জাতীয় অন্যান্য জিনিসের উপরও তায়াম্মুম করা দুরুস্ত আছে; যেমন, মাটি, বালু, পাথর, বিলাতী মাটি, পাথর চুন, হরিতাল, সুরমা, গেরুমাটি ইত্যাদি। মাটি জাতীয় জিনিস না হইলে উহার উপর তায়াম্মুম জায়েয নহে; যেমন- সোনা, রূপা, রাং, গেহু, কাঠ, কাপড় এবং অন্যান্য শস্য ইত্যাদি। কিন্তু যদি এই সব জিনিসের উপর মাটি জমিয়া থাকে, তবে অবশ্য মাটির কারণে ইহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত হইবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনি প্রথমে চেষ্টা করবেন, গরম পানি দ্বারা অজু/ফরয গোসল করে নেয়ার। যদি গরম পানি দ্বারা অজু করতেও সমস্যা হয়, তাহলে তখন তায়াম্মুম করে নিবেন। যখনই মনে হবে যে, ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, তখনই তায়াম্মুম করে নিবেন।

অজুর পরিবর্তে যেভাবে তায়াম্মুম করা যায়, ঠিকতেমনি ফরয গোসলের পরিবর্তেও তায়াম্মুম করা যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...