ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2192 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "(৫/১৭০) এ বর্ণিত রয়েছে,
ذهب بعض الحنابلة وبعض الشافعية: إلى أن من أراد أن يضحي فدخل العشر من ذي الحجة يجب عليه أن يمسك عن قص الشعر والأظفار، وهو قول إسحاق وسعيد بن المسيب. وقال الحنفية، والمالكية، وهو قول بعض الشافعية والحنابلة: يسن له أن يمسك عن قص الشعر والأظفار.
হাম্বলী মাযহাবের কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম এবং শাফেয়ী মাযহাবের কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন যে, যে ব্যক্তি কুরবানি করতে ইচ্ছুক,তার জন্য জিলহজ্ব মাসের এক তারিখ থেকে নিয়ে কুরবানির পূর্ব পর্যন্ত চুল,নক,মুছ ইত্যাদি না কাটা ওয়াজিব।ইমাম ইসহাক রাহ,ও সাঈদ ইবনে মুসাঈয়্যিব রাহ এরও মাযহাব এটাই।অন্যদিকে হানাফি ও মালিকী মাযহাব এবং হাম্বলী ও শাফেয়ী মাযহাবদ্বয়ের কিছু সংখ্যক উলামায়ে মনে করেন,চুল নক ইত্যাদি না কাটা সুন্নত।(আল মাওসুআকুল ফেকহিয়্যাহ-৫/১৭০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
জ্বী,সেক্ষেত্রে শুধু মুখের লোম কাটলে সেই সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে যে সাওয়াবের আশায় আমরা হাজীদের মত চুল, নখ না কেটে থাকি। কেননা চুলের মত সকল প্রকার চুলই শামিল।
(২)
জ্বী,কোনো মহিলা হজ্ব করতে গেলে তিনিও এই কয়দিন মুখের বাড়তি লোম কাটতে পারবেনা।