বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাজের মধো বিদাআত করলে নমাজ হবে।তবে এমনটা করা মাকরুহ।
(২)
রুকুতে হাটুর উপর হালকা চাপ দেওয়াকে সুন্নত বা ইসলাম সম্মত মনে করা ঠিক হবে না।তবে নামাজ হয়ে যাবে।
(৩)
মনে মনে ভুলে হালালকে হারাম বা হারাম কে হালাল বললে বা মনে করলে কুফুরি কাজ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত করলে সেটা অবশ্যই কুফরি হবে।
(৪)
লোক দেখানো ওযু করলে ওযু হবে।তবে সওয়াব পাওয়া যাবে না।
(৫)
শরীরের নাপাক লাগলে,যদি তা এক দিরহাম থেকে বেশী না হয়, তাহলে ধৌত না করলেও নামাজে কোনো সমস্যা হবে না। তবে এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
https://www.ifatwa.info/118 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।