আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (82 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।স্বামী স্ত্রী এখনো যে যার বাসায় থাকে।মেসেজে কথা হয়।শুনেছি মেসেজে তালাকের মজলিশ হয় না তাই কেনায়া বাক্য নিয়ত ছাড়া বললে হয়না কিন্তু মজলিসে বললে হয়।

স্বামী স্ত্রী  মেসেজে ঝগড়ার একপর্যায়ে  স্ত্রী  বলে     বাবা মার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব মানে সংংসার করবে নাকি তালাক দিবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।স্বামী বলে ঠিক আছে যাও কথা বল।মানে মেসেজে বলতেছে সব কথা।স্ত্রী বলতেছে বলব।স্বামী বলতেছে যদি তুমার মা বাবা না চাই আর তুমিও না চাও আমার সাথে থাকতে তাহলে ছেড়ে দিব।যাও কথা বল।স্ত্রী বলে থাকব  মানে স্বামীর সাথে থাকবে সেটা বলে।তারপর স্ত্রী বলে যদি খারাপ কিছু হয় আমি নিজে চলে যাব মানে ভবিষ্যৎ এ খারাপ কিছু হলে আর কি।তারপর স্বামী বলে এখন যাও গা এর চাইতে খারাপ কিছু হবে না  পরে।তারপর আবার স্ত্রী জিগ্যেস করে কোন নিয়তে বলেছে চলে যাওয়ার জন্য।স্বামী বলে এই কথা মরার আগ পর্যন্তও জিগ্যেস করবি না মানে কোন নিয়তে বলেছে বারবার জিগ্যেস করতেছে তহ সেটা।আর বলতেছে এটা আমি সহ্য করতে পারি না মানে কোন নিয়তে বলেছে কথা ওটা সহ্য করতে পারে না বলতেছে স্বামী।জিগ্যেস করলে সব শেষ করে দিব।এখানে স্বামীর কোন কথা দ্বারা কি তালাক হবে? সে তহ বলতেছে না কোন নিয়তে বলেছে।আর স্ত্রী তালাক চায় নি।মেসেজে ডিভোর্সের কথা হলেও স্ত্রী তালাক চায় নি।এমনিতে সিদ্ধান্ত নিবে মা বাবার সাথে কতা বলে তেমনটা বলেছে।শুনেছি তালাক চায়লে স্ত্রী তখন স্বামী পরপর কেনায়া বাক্য বললে হয়। আরো পর নিয়ত ছড়া বললে হয় না।এখানে স্বামী বলতেছে নাও কোন নিয়তে বলেছে বরং গালি গালাজ করতেছে কোন নিয়তে বলেছে এসব জিগ্যেস করলে।কয়েকটা বলেছে কেনায়া শব্দ।কিন্তুু নিয়ত জিগ্যেস করলে রেগে যায়।এসব কথা দ্বারা কি তালাক হবে?এখন করণীয় কি?ঝগড়ার ৩০বা ৪০ মিনিট পর স্বামী ভাল ব্যবহার করে আবার।একদম ভাল হয়ে যায়।। সব কথা মেসেজে হয়।

২।স্বামী যদি  বলে স্ত্রীকে  তুই তাই ব্যবহার করলে সংংসার করবে না স্ত্রীর সাথে।স্ত্রী যদি পরে আবার তুই তাই ব্যাবহার করেছে তাহলে কি তালাক হবে?স্বামীকে কোন নিয়তে বলেছে বারবার জিগ্যেস করেছে স্ত্রী, স্বামী বলে নি  কোন নিয়তে বলেছে বরং গালি গালাজ করেছে বিচ্ছিরি বিচ্ছিরি।আার শুনেছি সংংসার করব না বললে তালাক হয় না সেটা নাকি তালাকের ওয়াদা বুঝায় মানে তালাকের নিয়তে বললেও আর কি।নাকি ওয়াদা বুঝাবে নাকি তালাক বুঝাবে?আর সব কথা মেসেজে বলেছে।

৩।অনেক কেনায়া বাক্য বলেছে কিন্তুু নিয়ত জিগ্যেস করলে রেগে যায় গালিগালাজ করে।এতে স্ত্রীর করণীয় কি? পরে ভাল হওয়ার পর স্ত্রী আবার জিগ্যেস করে আমাকে নিয়ে সারাজীবন থাকার ইচ্ছে করে স্বামী বলে হ্যা।ঝগড়ার  সময় জিগ্যেস করলে গালিগালাজ করে স্বামী।আর বলে আর যদি জিগ্যেস করস তাহলে সব শেষ করে দিব।এসব কথা,দ্বারা কি তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবে?

৪।স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের অধিকার দেয়।আর স্ত্রী যদি বলে তুমি অমুক কাজ করলে আমি চলে যাব।স্বামী যদি ঐ কাজটা করে তাহলে কি শর্ত যুক্ত তালাক হবে নাকি সেটা ওয়াদা বুঝাবে? মানে স্ত্রী যদি তালাকের নিয়তে বলে আর কি।

৫।স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে হয় আমাকে ছারবি নয়ত তুই তাই ব্যাবহার ছারবি এটা,দ্বারা কি তালাক হবে?

৬।স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের অধিকার দেয়।স্ত্রী যদি বলে চল একটা কাজ করি, আমার সাথে সুখে থাকবে না।মানে দুইজনে মিলে তালাক দিয়ে ফেলবে সেটা বুঝাইছে।কিন্তুু সরাসরি বলে নি স্ত্রী।দিয়ে দেই নাই তালাক।স্ত্রীর এমন কথায়,কি তালাক হবে?

৭।স্বামী স্ত্রীর মেসেজে ঝগড়া করার সময় স্বামী বলে আমি বিদেশ চলে যাব তুমি যা করবা কর গা।তহ স্ত্রী বলে আমি কি করব? স্বামী বলে আরেকটা করিও বিয়ে বা কর গা।স্ত্রী স্বামীর কাছে কোন নিয়তে বলেছে সেটা জিগ্যেস  করলে বলে না।আরো গালিগালাজ করে।পরে মানে ৩০-৪০ মিনিট পর সব ভাল হয়ে যায়।এমন ভাল যেন স্ত্রীকে বেশি ভালবাসে,তখন বলে যে সারাজীবন থাকবে বউ নিয়ে। স্বামীর এসব কথার দ্বারা কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
(১) খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।

وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি কয়েকবার পড়েও বুঝতে সক্ষম হইনি।আমরা যা বুঝেছি, সেই আলোকেই বলছি, প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না। এ বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলতে চাই। আপনি কল দিবেন। এই বিষয়ে দয়া করে নতুনকরে আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।

(২)
স্বামী যদি  বলে স্ত্রীকে  তুই তাই ব্যবহার করলে সংংসার করবে না স্ত্রীর সাথে।স্ত্রী যদি পরে আবার তুই তাই ব্যাবহার করেছে তাহলে তালাক হবেনা।স্বামীকে কোন নিয়তে বলেছে বারবার জিগ্যেস করেছে স্ত্রী, স্বামী বলে নি কোন নিয়তে বলেছে বরং গালি গালাজ করেছে বিচ্ছিরি বিচ্ছিরি।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোনো তালাক হবে না।

(৩)
তালাক হবে না।

(৪)
জ্বী, এদ্বারা তালাক হবে না।

(৫)
তালাক হবে না।

(৬)
তালাক হবে না।

(৭)
তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
এই বিষয়ে নতুনকরে প্রশ্ন না করে, এখানে কমেন্ট করবেন।
by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর 

আমার একটা প্রশ্ন ছিলো 

স্বামী যদি স্ত্রী কে বলে তুমি আমাকে তালাক দিবা তোমার সাথে থাকবোনা চলবোনা।।এসএমএস এ বলছেন।

এখন এটা কি তালাকের আবেদন বুঝাবে নাকি অনুমতি 

আর স্বামী এটা বাতিল করতে চাইলে করণীয় কি??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...