বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1330 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাহিয়্যাতুল মসজিদঃ-
في الدرالمختار ،ج٢،ص:١٨
(وَيُسَنُّ تَحِيَّةُ) رَبِّ (الْمَسْجِدِ، وَهِيَ رَكْعَتَانِ، وَأَدَاءُ الْفَرْضِ) أَوْ غَيْرُهُ، وَكَذَا دُخُولُهُ بِنِيَّةِ فَرْضٍ أَوْ اقْتِدَاءٍ (يَنُوبُ عَنْهَا) بِلَا نِيَّةٍ،
মসজিদের রবের শুকরিয়া আদায় জ্ঞাপক তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব (সুন্নাতে গায়রে মু'আক্কাদা)। ফরয নামায বা ইমামের অনুসরণ করার নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করলে বিনা নিয়তে সে সব নামাযের সাথে তাহিয়্যাতুল মসজিদও আদায় হয়ে যাবে।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় বলেন,
(قوله وهي ركعتان) في القهستاني وركعتان أو أربع، وهي أفضل لتحية المسجد إلا إذا دخل فيه بعد الفجر أو العصر، فإنه يسبح ويهلل ويصلي على النبي - صلى الله عليه وسلم - فإنه حينئذ يؤدي حق المسجد كما إذا دخل للمكتوبة فإنه غير مأمور بها حينئذ كما في التمرتاشي. اهـ.
তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুই বা চার রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।তবে যদি কেউ মসজিদে ফজর এবং আছরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর প্রবেশ করে, তাহলে তার জন্য তখন তাহিয়্যাতুল ওজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু'রাকাত করে নামায পড়ার নিয়ম নেই। বরং তখন মাকরুহ হবে। সে কি করবে? বলা যায় যে,সে তাসবীহ, তাহলীল,এবং নবীর উপর দুরূদ পাঠ করবে। তখন মসজিদের হক্ব আদায় হয়ে যাবে। ঠিক তেমনি কেউ ফরয নামায আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে, তখন তার জন্যও তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া অত্যাবশ্যকীয় নয়। কেননা ফরয নামাযের সাথে তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায আদায় হয়ে যায়। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
কেউ যদি নামাজের জন্য না, বরং কোন কাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করে, তাহলে তার জন্যও তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া মুস্তাহাব।
(২)
আছর ও এশার নামাজের জামাতের জন্য কম সময় বাকী থাকলে, তখন সুন্নত নামায পড়তে হবে। তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।