আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম সন্মানিত মুফতীয়ানে কেরম,, প্রথমেই আন্তরিক ভাবে দুঃক্ষিত বড় প্রশ্ন হবার জন্য,,,ইমানহারা হওয়া থেকে বাচার জন্য বিস্তারিত বলব ইংশা আল্লাহ
......
আমি ঢাকা তে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ চাকরি রত অবস্থায় ছিলাম,,, , আমার জন্য, আমার বাসা থেকে বিয়ের পাত্রী দেখে আমার পরিবার,, তো পাত্রীর অবস্থার উপর আমি রাজি ছিলাম না,,,সরাসরি আমি বাসায় ফোন করে বলেছিলাম যে পাত্রী বাসায় না করে দেয় যেন..
রাজি না থাকার বিশেষ কিছু কারণ
১ আমার বাসা এবং মেয়ের বাসা রাজশাহীতে,, মেয়ের বাবার কথা হলো ছেলে যদি রাজশাহীতে না থাকে তাহলে বিয়ে দিবে না,,,
( রাজশাহীতে চাকরি করার মতো প্রতিষ্ঠান সংস্থা নেই বললেই চলে)  এই জন্য রাজি ছিলাম না
২ মেয়ের মন, ইচ্ছের সঙ্গে আমার মন মানষিকতার মিল ছিলনা,,,,
৩ মেয়ে চরম পর্যায়ের কট্টরপন্থী আহলে হাদিস ,

যা হাড়ে হাড়ে টের পাইছি
এরপর মায়ের জোরাজোরির কারণে বিয়েতে রাজি হই,,,
বিয়ের পর থেকে প্রায় আমাদের ভুল বোঝাবুঝি ঝামেলা হতো,,,
আমার পরিবার কোন সমাধান করত না ঝামেলার,,,এই জন্য আমি রেগে যেতাম,, যে তাদের পছন্দ মতো বিয়ে করেছি অথচ তারা ঝামেলার মধ্যে কোন সমাধান না করার জন্য,
এরপর বিয়ে হওয়ার পরে ঢাকা থেকে চলে আসার পরে কয়েক মাস কোন কাজ চাকরি পাইনি,,, এই সময় কোন কাজ বা চাকরি পাওয়ার জন্য বাসা থেকে কোন সহায়তা পাইনি,,,
বেকার ছিলাম অনেকে অনেক কথা বলত কষ্টও লাগতো,, আবার বাসাতেও কথা হয়েছে অনেক,,,
যাই হোক প্রায় আমি মাকে বলতাম যে আমি সংসার করবো না,,,  আম্মা বলতেন,কেন. তালাক দিয়েছ নাকি...?
আমি বলতাম হ্যা(যানতাম না এই কথার কারণে সত্যি তালাক হয়ে যায়)

এরপরে একটা বাবুও হয় আমাদের,,, বাবু হওয়ার কিছুদিন আগে আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি আমাদের মাঝে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে,, প্রায় বিয়ের ৩ মাস পরে,,, এর পর পেটে বাবু এসেছে..
এখন মেয়ে তাদের বাসায় আছে কয়েক মাস থেকে...
আর আমার বাসা থেকে চাপ দিচ্ছে আমি যেন তার সঙ্গে সংসার করি,,, আমি  বলেছি যে বাড়ি থেকে চলে যাব তাও ভালো সংসার করবো না,,, আমার পরিবার কোনকিছু মানতে নারাজ,,,,
আমিও বাড়ি থেকে চলেই এসেছি,, ঢাকায় ঢাকায় আসার ২ দিন পরে গোপালগঞ্জ জেলায় একটি চাকরিও হয়ে যায় আমি এখানেই আছি,,,
মাঝে মাঝে বাসা থেকে ফোন দিয়ে বলে বাসায় ফিরে যেতে তার সঙ্গে সংসার করতে,,,

এখানে আমার প্রশ্ন ৩ টি

প্রশ্ন  ১ আমি নিয়ত করেছি কোনদিন বাসায় জাব না,, পরিবারের সঙ্গে সম্পরকোন  সম্পর্ক রাখব না,,,
এটাকি ঠিক হবে...?
প্রশ্ন ২ বাবুর নসব কোন দিকে যাবে...?
প্রশ্ন ৩ মা বাবার দেখা শোনা না করার জন্য কি গোনাহ হবে...
অবশ্য দেখা শোনা করার জন্য আমার বড় ভাই আছে

1 Answer

+1 vote
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কিভাবে তালাক হয়েছে, সেই ফাতাওয়ার লিংক আমাকে দিবেন।

যদি সেই ফাতাওয়া আমাদের ওখান থেকে দেয়া হয় যে, আপনাদের তালাক হয়ে গিয়েছে।

তাহলে এখন

(১)
আমি নিয়ত করেছি কোনদিন বাসায় জাব না,, পরিবারের সঙ্গে সম্পরকোন  সম্পর্ক রাখব না,,,এটা ঠিক হবে না।বরং আপনি বাসায় যাবেন, মাতাপিতার সাথে দেখা করবেন।
(২)
বাচ্ছার নসব আপনার দিকেই আসবে।অর্থাৎ বাচ্ছার বাবা আপনিই হবেন।

(৩)
বাবা মায়ের দেখাশোনা না করার জন্য অবশ্যই আপনি গোনাহগার হবেন।

https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
পিতা-মাতার নাফক্বাহ কার উপর ওয়াজিব হবে।
পিতা-মাতার নাফক্বাহ সন্তানের উপর ওয়াজিব হবে।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,সন্তানের মালের উপর পিতা-মাতা অধিকার রয়েছে।এবং পিতা-মাতা তাদের সব চেয়ে বেশী ঘনিষ্ঠজন। তাই এজন্য তারা সন্তানের কাছ থেকে খোরপোষের সবচেয়ে বেশী হক্বদার।
জাহির রেওয়ায়াত অনুযায়ী
হানাফি মাযহাবের মূলনীতির আলোকে পিতা-মাতার খোরপোষের দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে উভয়ের। এক্ষেত্রে উভয়ই সমান অর্থ্যাৎ সবার উপর ওয়াজিব।(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়-৪১/৭৬)(ফাতহুল ক্বাদির, ৪/৪১৭)

وفي ردالمحتار
تحت قَوْلُهُ )بِالسَّوِيَّةِ بَيْنَ الِابْنِ وَالْبِنْتِ(
هُوَ ظَاهِرُ الرِّوَايَةِ وَهُوَ الصَّحِيحُ هِدَايَةٌ، وَبِهِ يُفْتَى خُلَاصَةٌ، وَهُوَ الْحَقُّ فَتْحٌ ،3/623ِ
রদ্দুল মুহতার গ্রন্থের ৩নং খন্ডের৬২৩নং পৃষ্টায় বর্ণিত আছে,পিতা-মাতার খোরপোষ ছেলে-মেয়ে উভয়ের উপর সমানভাবে ওয়াজিব হবে।


মেয়ে কট্টরপন্থী আহলে হাদীস হওয়া তালাকের বা সংসার না করার কোনো কারণ হতে পারে না। হ্যা, সংসারের স্থিতিশীলতার প্রতি লক্ষ্য করে বিয়ে রাজী না হওয়ার কারণ হতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...