আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
জনাব আ‌মি একটা বেসরকারী কোম্পা‌নি‌তে চাকু‌রি ক‌রি বেতনও মাশাল্লাহ ষাট হাজার পাই, আ‌মি একজন হিন্দু মে‌য়ে‌কে ভালবা‌সি দশ বছর থে‌কে, আ‌মি থা‌কে জীবন সঙ্গী হিসা‌বে চাই, আ‌মি তা‌কে ছাড়া হয়‌তো বাচ‌বোনা পগল হ‌য়েও যে‌তে পা‌রি, তার সা‌থে মা‌ঝে মা‌ঝে দেখা হয় প্রতি‌দিন ফো‌নে কথা হয়, কিছু‌দিন আ‌গে আ‌মি তার সা‌থে ঝগড়া ক‌রে যোগা‌যোগ বন্ধ রা‌খি ছয় মাস, সেই সময় একটা  বিবা‌হিত পুরুষ তা‌দের প‌রিবা‌রের সা‌থে দেখা ও যোগা‌যোগ হয় তা‌দের কথা হয়, তখন সেই পুরুষ‌টি মে‌য়ে‌টি‌কে ব‌লে আ‌মি মাজা‌রে গিয়া তোমা‌কে বউ হিসা‌বে মানত কর‌ছি আ‌রো অ‌নেক কিছু ব‌লে তার সা‌থে সর্ম্পকে জ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়ে, পুরুষটার কিন্তু বউ বাচ্চা আ‌ছে তবুও সে অন্ধ হ‌য়ে গে‌ছে আমার কথা শুন‌তে‌ছেনা, আ‌মি প্রতি‌দিন বুঝা‌চ্ছি কিন্তু সে বুঝ‌তে‌ছেনা, পুরুষটা মুস‌লিম এবং একজন ই‌লে‌ক্ট্রিক শ্রমিক আর মে‌য়ে মাষ্টার্স পাস, মে‌য়ে‌টি আমা‌কে বল‌ছে আ‌মি তা‌কে ওয়াদা দি‌ছি তা‌কে বিবাহ কর‌বো,এখন ওয়াদা পূরন না কর‌লে পাপ হ‌বে, এখন আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণই অস্পষ্ট।দয়াকরে স্পষ্টভাবে ইডিট করে দিবেন।

আপনার শিরোনামের জবাব হল, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়ত দান করেন, এবং যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন।সুতরাং হিন্দুকেও আল্লাহ হেদায়ত দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...