আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in সাওম (Fasting) by (42 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম। কত বছর থেকে রোজা ফরজ? আর আমি যদি এখন বিগত বছরের কাযা রোজা রাখতে চাই, তবে যে বছর গুলোর সঠিক হিসাব নেই, সেগুলো কতদিন রাখবো? 12 বছর থেকে ফরজ হিসেব করলে প্রথম 3 বছরের সঠিক কাযার হিসেব নেই। হ্যাঁ, এইটা ঠিক যে কোনো বছরই পুরো মাস কাযা যায় নাই।
closed

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
selected by
 
Best answer


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2187 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায়-
এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-
প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪।

মোটকথাঃ জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে,তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।এবং একটি কাফ্ফারা ই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে।
ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/102 (শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
https://www.ifatwa.info/12073 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বালেগ হওয়ার কয়েকটি আলামত রয়েছে যথা-
সাধারণত ১৫ বৎসর বয়স থেকে ছেলে বালিগ হয়।এবং ১৩ বৎসর বয়স থেকে মেয়ে বালিগ হয়।
তবে স্থান কাল ও খাদ্যাভ্যাস হিসেবে এর আগেও শারিরিক উন্নতি হয়ে বালিগ হতে পারে।
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত,স্বপ্নদোষ হওয়া।
আর মেয়েদের বালিগ হওয়ার আলামত,হায়েয শুরু হওয়া।
এ আলামত গুলো যখনই পাওয়া যাবে তখনই বালেগ হিসেবে গণ্য করা হবে।

قال أبو حنيفة: مدة البلوغ بالسن في الغلام ثماني عشرة سنة، وفي الجارية سبع عشرة سنة.
وقال أبو يوسف، ومحمد: في الغلام والجارية خمس عشرة سنة
(৭১৭ নং মাসআলা,কুদুরী)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি বালেগ হওয়ার পর যখন যতটি রোযা কা'যা করেছেন, অনুমান করে দেখে নিবেন যে, কতটি রোযা সর্বমোট আপনার কাযা হয়েছে, সেই সব রোযা আপনি কাযা করে নিবেন। পুরোপরি হিসাব সম্ভব না হলে, অনুমানের ভিত্তিতেই আপনি হিসেব করে নিবেন, এবং রোযাগুলোকে কাযা করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
0 votes
1 answer 248 views
0 votes
1 answer 253 views
0 votes
1 answer 124 views
...