আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
অাসসালামু অালাইকুম ওয়া রহমতুল্লহ।বাবা যদি ভুল পথে চলে,,ভুল কাজ করে,অাল্লাহ নিষিদ্ধ কাজ করে সেই পথে চলে,,বাইরে হিন্দুদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখে যেন পরিবার।নানা রকম অভিযোগ মা যদি মেয়ের সাথে বলে অাবার মেয়ের কাছে খারাপ লাগা বিষয় মাকে বলে কিন্তু সত্যিটা বাবার সামনে বললে সে অশান্তি করবে, নানা সমস্যা হবে তাই তাকে কিছু বলা হয় না কিন্তু তার কথা মা মেয়ে অালোচনা করলে কি গীবত হবে গুনাহ হবে? মা মেয়ের কাছে বলে হালকা হয় অার অনেক সময় মেয়ে রাগে মার নিকট বাবার কার্য কলাপ নিয়ে সমালোচনা করে মাও করে।
এটা গুনাহ হলে এ থেকে বাঁচার উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ছয়টি কারনে গীবত করা জায়েজ,তার মধ্যে অন্যতম দুটি কারন হলোঃ-
 
 الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما. 

(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

الخامس: أن يكون مجاهرا بفسقه أو بدعته. فيجوز ذكره بما يجاهر به، ويحرم ذكره بغيره من العيوب،

(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ কোনো প্রকাশ্য গোনাহ করলে এবং তার আলোচনা লোক সমাজে করার প্রয়োজন হলে তখন তার আলোচনা করার রুখসত রয়েছে। কারো গোনাহের আলোচনা করার প্রয়োজনিয়তা দেখা দিলে তখন শরীয়ত অনুমোদন দিবে। যদি সে প্রকাশ্যে ঐ গোনাহে লিপ্ত থাকে, এবং ধারাবাহিক করতে থাকে। 

হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের মাধ্যমে স্বামীকে বুঝিয়ে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টায় মা মেয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি জায়েজ হবে।

অথবা যদি বাবার এহেন কাজ প্রকাশ্য হয়,তাহলে সেটি নিয়ে আলোচনা করা যাবে,উদ্দেশ্য থাকবে,উক্ত গুনাহ থেকে নিজেদেরকে বাঁচানো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
অালহামদুলিল্লাহ। জাযাকাল্লহ খইরন উস্তাদ । খুব মানসিক অশান্তিতে ছিলাম মনের সংশয় দূর হলো।অালহামদুলিল্লাহ। উস্তাদ ৬ টি কারনের বাকি ৪ টি কারনো যদি বলে দিতেন ইনশাআল্লাহ উপকৃত হতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...