ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ছয়টি কারনে গীবত করা জায়েজ,তার মধ্যে অন্যতম দুটি কারন হলোঃ-
الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما.
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।
الخامس: أن يكون مجاهرا بفسقه أو بدعته. فيجوز ذكره بما يجاهر به، ويحرم ذكره بغيره من العيوب،
(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ কোনো প্রকাশ্য গোনাহ করলে এবং তার আলোচনা লোক সমাজে করার প্রয়োজন হলে তখন তার আলোচনা করার রুখসত রয়েছে। কারো গোনাহের আলোচনা করার প্রয়োজনিয়তা দেখা দিলে তখন শরীয়ত অনুমোদন দিবে। যদি সে প্রকাশ্যে ঐ গোনাহে লিপ্ত থাকে, এবং ধারাবাহিক করতে থাকে।
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের মাধ্যমে স্বামীকে বুঝিয়ে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টায় মা মেয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি জায়েজ হবে।
অথবা যদি বাবার এহেন কাজ প্রকাশ্য হয়,তাহলে সেটি নিয়ে আলোচনা করা যাবে,উদ্দেশ্য থাকবে,উক্ত গুনাহ থেকে নিজেদেরকে বাঁচানো।