আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম

১. ভাগ্য বিষয়টা কেমন? রিজিক কি পূর্বনির্ধারিত?  দেখা যায় একটা মেয়ে যদি চাকরি করে তাহলে তার স্বামী মারা গেলে সে তার সন্তানদের নিয়ে নিজের আয়ে সম্মানের সাথে থাকতে পারে কিন্তু তার যদি চাকরি না থাকে বা ঘরে বসে থাকে স্বামী মারা গেলে এর ওর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে অসম্মানের সাথে বাঁচতে হয়। তো এক্ষেত্রে কি সে সম্মানের সাথে বাঁচবে নাকি হাত পেতে বাঁচবে এটা কি পূর্বনির্ধারিত?  কারণ যদিও অনেকে বলে প্রয়োজন হলে কাজ করে ইনকাম করা যায় কিন্তু বয়সের এক পর্যায়ে আর চাকরি পাওয়া যায় না। ব্যবসা করা অতটা সহজও না। তো মেয়েদের কি উচিত পর্দার সাথে জব করা যাতে এমন কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে হেল্প করতে পারে??

২। অনেকের জীবনের লক্ষ্য থাকে ডাক্তার হওয়া,ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এখানে যা তাকদিরে ডাক্তার লিখা সে ডাক্তার হবে না হয় হবে না। বিষয়টা এমন?
৩। দুয়ার মাধ্যমে কি তাকদির বদলানো যায়?
৪। রিজিক যেহেতু নির্ধারিত তাহলে কি কাজ করে ইনকাম করলে যা রিজিক ভোগ করব কাজ না করে বসে থাকলেও আমার রিজিক আমার কাছে আসবে???

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ভাগ্য বিষয়টা পূর্বনির্ধারিত,রিজিকও পূর্বনির্ধারিত।

আল্লাহপাক বলেন, ‘পৃথিবীতে চলমান সকল প্রাণীর জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি তাদের অবস্থানস্থল ও সংরক্ষণস্থল জানেন। সবকিছুই এক স্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে’ (সূরা হুদ : ৬)। 

অন্যত্র আল্লাহপাক বলেন, ‘কোনো প্রাণীই জানে না, আগামীতে সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না তার মৃত্যু কখন কোথায় হবে’ (সূরা লোকমান : ৩৪)।

আল্লাহ বলেন, ‘আকাশে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ২২)

‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ১৯)

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত জীবিকা আসবেই। কেউ তার রিজিক ভোগ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ (ইবনে মাজাহ)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এমন অনেক জন্তু আছে, যারা আগামীকালের জন্য খাদ্য সঞ্চিত রাখে না। আল্লাহই রিজিক দেন তাদের ও তোমাদেরও। তিনি সর্বশ্রোতা তোমরা যা বলো, আর সর্বজ্ঞ যা তোমরা করো।’ [সূরা আনকাবুত : ৬০]

‘হজরত মুতাল্লিব ইবনে হানতাব রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, নিশ্চয় জিব্রাইল আমার অন্তরে ওহি ঢেলে দিয়েছেন, অবশ্যই রিজিক শেষ হওয়ার আগে কারো মৃত্যু হয় না। সুতরাং তোমরা হারাম ছেড়ে হালাল পথে রিজিকের অনুসন্ধান করো।’ [মুসান্নেফে ইবনে আবী শায়বা ৯/২৫৪]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়েদের কি উচিত পর্দার সাথে জব করা যাতে এমন কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে হেল্প করতে পারে।

(০২)
হ্যাঁ বিষয়টি এমনই।

(০৩)
তাকদির দুই প্রকার।
এর মধ্যে এক প্রকারের তাকদীর দোয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন হয়।

(০৪)
এক্ষেত্রে শরীয়ত চেষ্টা প্রচেষ্টার জন্য বলেছেন।
বসে থাকার আদেশ কোথাও করা হয়নি।

যদি সে বসেই থাকে,তাহলে এই বসে থাকার বিষয়ও তো তাকদীরের রয়েছে।
সুতরাং সেই অবস্থায় তার রিযিক কতটুকু হবে,তাও সেখানেই লেখা রয়েছে।  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দুনিয়ার সব কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারার্থে। মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু মানুষকে বানিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আল্লাহর গোলামির জন্য। সুতরাং আমাদের রিজিকের ব্যবস্থাও আল্লাহই করবেন। তাই আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, আর সাথে সাথে এই ইয়াকিন ও বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমার তাকদিরে যে রিজিক লেখা আছে তা অবশ্যই আমার কাছে পৌঁছবে। তাতে কোনো প্রকারের সন্দেহ-সংশয় করা যাবে না। কেননা, আল্লাহই তো সবার রিজিকের জিম্মাদার। সবার রিজিক তো তাঁরই কুদরতি হাতে। এই ইয়াকিন ও বিশ্বাস আমাদের থাকা চাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 114 views
...