ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ভাগ্য বিষয়টা পূর্বনির্ধারিত,রিজিকও পূর্বনির্ধারিত।
আল্লাহপাক বলেন, ‘পৃথিবীতে চলমান সকল প্রাণীর জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি তাদের অবস্থানস্থল ও সংরক্ষণস্থল জানেন। সবকিছুই এক স্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে’ (সূরা হুদ : ৬)।
অন্যত্র আল্লাহপাক বলেন, ‘কোনো প্রাণীই জানে না, আগামীতে সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না তার মৃত্যু কখন কোথায় হবে’ (সূরা লোকমান : ৩৪)।
আল্লাহ বলেন, ‘আকাশে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ২২)
‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ১৯)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত জীবিকা আসবেই। কেউ তার রিজিক ভোগ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এমন অনেক জন্তু আছে, যারা আগামীকালের জন্য খাদ্য সঞ্চিত রাখে না। আল্লাহই রিজিক দেন তাদের ও তোমাদেরও। তিনি সর্বশ্রোতা তোমরা যা বলো, আর সর্বজ্ঞ যা তোমরা করো।’ [সূরা আনকাবুত : ৬০]
‘হজরত মুতাল্লিব ইবনে হানতাব রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, নিশ্চয় জিব্রাইল আমার অন্তরে ওহি ঢেলে দিয়েছেন, অবশ্যই রিজিক শেষ হওয়ার আগে কারো মৃত্যু হয় না। সুতরাং তোমরা হারাম ছেড়ে হালাল পথে রিজিকের অনুসন্ধান করো।’ [মুসান্নেফে ইবনে আবী শায়বা ৯/২৫৪]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়েদের কি উচিত পর্দার সাথে জব করা যাতে এমন কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে হেল্প করতে পারে।
(০২)
হ্যাঁ বিষয়টি এমনই।
(০৩)
তাকদির দুই প্রকার।
এর মধ্যে এক প্রকারের তাকদীর দোয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন হয়।
(০৪)
এক্ষেত্রে শরীয়ত চেষ্টা প্রচেষ্টার জন্য বলেছেন।
বসে থাকার আদেশ কোথাও করা হয়নি।
যদি সে বসেই থাকে,তাহলে এই বসে থাকার বিষয়ও তো তাকদীরের রয়েছে।
সুতরাং সেই অবস্থায় তার রিযিক কতটুকু হবে,তাও সেখানেই লেখা রয়েছে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দুনিয়ার সব কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারার্থে। মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু মানুষকে বানিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আল্লাহর গোলামির জন্য। সুতরাং আমাদের রিজিকের ব্যবস্থাও আল্লাহই করবেন। তাই আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, আর সাথে সাথে এই ইয়াকিন ও বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমার তাকদিরে যে রিজিক লেখা আছে তা অবশ্যই আমার কাছে পৌঁছবে। তাতে কোনো প্রকারের সন্দেহ-সংশয় করা যাবে না। কেননা, আল্লাহই তো সবার রিজিকের জিম্মাদার। সবার রিজিক তো তাঁরই কুদরতি হাতে। এই ইয়াকিন ও বিশ্বাস আমাদের থাকা চাই।