বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আকিক পাথর সংক্রান্ত কোনো হাদীস পাইনি।
যাহা বর্ণিত হয়েছে,সবই মওযু'
تختموا بالعقيق فإنه مبارك موضوع
- أخرجه المحاملي في " الأمالي " (ج 2 رقم 41 - نسختي) والخطيب في " تاريخه " (11 / 251) وكذا العقيلي في " الضعفاء " (466) من طريق يعقوب بن الوليد المدني، وابن عدي (356 / 1) من طريق يعقوب بن إبراهيم الزهري، كلاهما عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة مرفوعا ومن طريق العقيلي ذكره ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 423) وقال: يعقوب كذاب يضع، قال العقيلي: ولا يثبت في هذا عن النبي صلى الله عليه وسلم شيء
তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর, কারণ সেটি বরকতপূর্ণ।
হাদীসটি মওযু'।
এটি মাহামেলী “আল-আমলী” গ্রন্থে (২/৪১ নং), খাতীব বাগদাদী তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১১/২৫১), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪৬৬) ইয়াকুব ইবনু ওয়ালীদ আল-মাদানী সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং ইবনু আদী (১/৩৫৬) ইয়াকুব ইবনুল জাওযী উকায়লীর সূত্রে “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (১/৪২৩) উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইয়াকুব মিথ্যুক, জালকারী। উকায়লী বলেনঃ এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কিছুই সাব্যস্ত হয়নি।
বিস্তারিত জানুনঃ
★যদি কোন পাথর এমন প্রমাণিত হয় যে, এটির কোন বিকিরণ ক্ষমতা থাকে, যা মানুষের শরীরে রাখলে বিশেষ কোন শারিরীক উপকার আসে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে তথা বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত হয়, তাহলে উসীলা হিসেবে ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু প্রমাণিত কোন পাথর ছাড়া এমনিতে রাশিচক্র ইত্যাদির উপর বিশ্বাস করে বৈজ্ঞানিকভাবে অপরিক্ষিত পাথরকে প্রতিক্রিয়াশীল মনে করা ও ব্যবহার করা বৈধ হবে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আকিদা বিশুদ্ধ রেখে আকিক পাথর সম্ভলিত রুপার আংটি ব্যবহার করা যাবে।তবে আকিদা অশুদ্ধ রেখে ব্যবহার করা যাবে না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেকোনো আকীক পাথর আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আংটিতে ব্যবহার করা যাবে।
আরো জানুনঃ
(০২)
না,এটি জায়েজ হবেনা।
কোনো মুসলিম প্রতারণা করতে পারেনা।
আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কাহারো সাথে প্রতারণা করবেননা।
ধোকা দিবেননা।
(০৩)
না,এটির অনুমতি নেই।
এভাবে বিপক্ষে কাজ করা যাবেনা।
তিনি যদি প্রকাশ্যে কবিরাহ গুনাহ করেন,বা নামাজ অশুদ্ধ পড়াম,তাহলে তাকে বাদ দেয়ার জন্য ফিতনাহ যেনো সৃষ্টি না হয়,বিশৃংখলা যেনো না হয়,শরীয়ত সম্মত পন্থায় তাকে বাদ দেয়া কাজ করা যেতে পারে।
(০৪)
এটি মিথ্যা হবে।
আপনি তাওরিয়াহ করতে পারেন।
পকেটে টাকা না রেখে সেই জামা পরিধান অবস্থায় বলতে পারেন যে আমার নিকটে আপনাকে করজ দেয়ার মতো টাকা নেই।
(০৫)
আপনার বাবা যদি গরিব হোন, সংসার চালাতে কষ্ট হয়,যার ভিত্তিতে আপনার থেকে এগুলো আনতে বলে।
আর আপনার যদি নিজ পরিবার চালানোর পরেও অতিরিক্ত টাকা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।
(০৬)
হ্যাঁ নাপাক।
তবে তাহা যদি ঐ নির্দিষ্ট জায়গাতেই থাকে,তাহলে সেটি যেহেতু বাহিরের দিকে আসবেনা,তাই সেটি পূর্ণ ভাবে পরিস্কার না করা গেলেও সমস্যা হবেনা।
তদুপরি আপনি টিস্যু ব্যবহার করে কমপক্ষে এক বদনা পানি ব্যবহার করবেন।
(০৭)
যদি দোকানের মূলধন আপনার হয়,তাহলে এক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে কাউকে বাকি দিলে অবাধ্য হবেননা।
আর যদি মূলধন আপনার বাবার হয়,তাহলে এটি স্পষ্ট অবাধ্যতা।