আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু

 

আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ২০০১ সালে আমার নানু মারা যায় এবং তাকে মানিকগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে তার নিজের জায়গায় কবর দেওয়া হয়। অনেকদিন ধরেই সেই জায়গার কিছু অংশ প্রতিবেশী দখল করে রাখে এক পর্যায়ে তারা দখলকৃত জায়গার উপর বাড়ি নির্মাণ করে এর ফলে তাদের সাথে ঝামেলা বাড়তেই থাকে, যার কারণে এক প্রকার বাধ্য হয়েই জায়গার দখলকৃত অংশ ছাড়া বাকি অংশ কবর স্থানান্তরের শর্তে অন্যজনের কাছে বিক্রয় করে ফেলা হয়। এমতাবস্থায় আমি জানতে চাচ্ছি যে, ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে কবর স্থানান্তরের পদ্ধতি কি এবং এতে কোন সমস্যা হবে কি? দয়া করে জানালে উপকৃত হতাম।

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ لَمَّا حَضَرَ أُحُدٌ دَعَانِي أَبِي مِنْ اللَّيْلِ فَقَالَ مَا أُرَانِي إِلاَّ مَقْتُولاً فِي أَوَّلِ مَنْ يُقْتَلُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَإِنِّي لاَ أَتْرُكُ بَعْدِي أَعَزَّ عَلَيَّ مِنْكَ غَيْرَ نَفْسِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ عَلَيَّ دَيْنًا فَاقْضِ وَاسْتَوْصِ بِأَخَوَاتِكَ خَيْرًا فَأَصْبَحْنَا فَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ وَدُفِنَ مَعَهُ آخَرُ فِي قَبْرٍ ثُمَّ لَمْ تَطِبْ نَفْسِي أَنْ أَتْرُكَهُ مَعَ الآخَرِ فَاسْتَخْرَجْتُهُ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ فَإِذَا هُوَ كَيَوْمِ وَضَعْتُهُ هُنَيَّةً غَيْرَ أُذُنِهِ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন উহুদ যুদ্ধের সময় উপস্থিত হল, তখন রাতের বেলা আমার পিতা আমাকে ডেকে বললেন, আমার মনে হয় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাহাবীগণের মধ্যে যাঁরা প্রথমে শহীদ হবেন, আমি তাঁদের মধ্যে একজন হব। আর আমি আমার (মৃত্যুর) পরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত তোমার চেয়ে অধিকতর প্রিয় কাউকে রেখে যাচ্ছি না। আমার যিম্মায় করয রয়েছে। তুমি তা পরিশোধ করবে। তোমার বোনদের ব্যাপারে সদুপদেশ গ্রহণ করবে। জাবির (রাঃ) বলেন, পরদিন সকাল হলে (আমরা দেখলাম যে) তিনিই প্রথম শহীদ। তাঁর ক্ববরে আর একজন সাহাবীকে তাঁর সাথে দাফন করা হয়েছিল। কিন্তু পরে অন্য একজনের সাথে (একই) ক্ববরে তাঁকে রাখা আমার মনে ভাল লাগল না। তাই ছয় মাস পর আমি তাঁকে (ক্ববর হতে) বের করলাম এবং দেখলাম যে, তাঁর কানে সামান্য চিহ্ন ব্যতীত তিনি সেই দিনের মতই (অক্ষত ও অবিকৃত) রয়েছেন, যে দিন তাঁকে (ক্ববরে) রেখেছিলাম। (বুখারী ১৩৫১.১৩৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৬৯)

ফাতাওয়ার কিতাবে রয়েছেঃ
 
ولا ينبغي إخراج الميت من القبر بعد ما دفن إلا إذا كانت الأرض مغصوبة أو أخذت بشفعة، كذا في فتاوى قاضي خان- إذا دفن الميت في أرض غيره بغير إذن مالكها فالمالك بالخيار إن شاء أمر بإخراج الميت وإن شاء سوى الأرض وزرع فيها، كذا في التجنيس.

দাফন করার পর কবর থেকে লাশ বের করা উচিৎ নয়।তবে যদি জোরদখলের মাধ্যমে কোনো স্থানে কাউকে দাফন করা হয়,বা উক্ত দাফনকৃত স্থানকে কেউ শুফ'আর দাবীর মাধ্যমে নিজের মালিকানায় নিয়ে নেয়,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কবরস্থান থেকে লাশকে অন্যত্র স্থানান্তর করার অনুমোদন শরীয়তে রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে কাযিখান)যদি কাউকে অন্যর জায়গায় মালিকের অনুমতি ব্যতীত দাফন করা হয়ে থাকে,তাহলে মালিকের এখতিয়ার থাকবে,সে চাইলে তার জায়গা থেকে লাশকে বের করার নির্দেশ প্রদাণ করবে।অথবা চাইলে সে কবরের চিন্থকে মিটিয়ে সে জায়গাকে সমান করে সেখানে ক্ষেত-কৃষিও করতে পারবে।(তাজনীস)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৫৭)

বিস্তারিত জানুনঃ 

যদি কোনো কবরস্থান ওয়াক্বফ না থাকে,এবং সেখানের শায়িত লাশ সমূহ অনেক পুরাতন হয়ে গেছে বলে ধারাণা করা হয় যে,লাশ সমূহ মাঠি হয়ে গেছে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কবরস্থানের উপর রাস্তা বাড়ি অনায়াসে বানানো যাবে এতে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

★★সম্মাণিত প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বিবরণ অনুযায়ী, যেহেতু দাফনের আজ ২১ বৎসর হয়ে গেছে, সুতরাং সেখানে বাড়ি নির্মান, রাস্তাঘাট, ইত্যাদি নির্মাণ করা যাবে।কবরকে স্থানান্তর করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তবে যদি সেই জায়গা খনন করতে গিয়ে কোনো হাড্ডি  পাওয়া যায়,তাহলে তাহা যত্ন সহকারে অন্যত্রে দাফন করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...