আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)

১. আমি একটা কোচিং এ পড়াই, তো আজকে এক ক্লাস ৫ এ পড়ানোর সময় এক ছাত্র আল্লাহ সম্পর্কে হাসি ঠট্টা করে কথা বলেছে। তো আমি ঐসময় সূরা তওবার ওই আয়াত মনে পড়ে। যে আল্লাহ সম্পর্কে হাসি তামাশা করলে কাফির হয়ে যায়। তো আমি সেটাই বলি যে, আল্লাহ, রাসুল, ইসলামের কোন বিষয় নিয়ে হাসি মজা করলে কাফির হয়ে যাবা। তওবা করতে বলি। তো পাশে আবার আরেকজন ওকে কাফির কাফির বলছিল। 

 

কিন্তু পরে মনে পড়ল, কাউকে কাফির বলার আগে অনেকগুলো বিষয় খেয়াল করতে হয়। ঐসময় এগুলো ঠিক মাথায় ছিল না। কেউ কাউকে কাফির বললে হাদীসে নাকি আছে, যেকোন একজন নাকি কাফির। এখন আমার কি ইমানের সমস্যা হবে? আমি যা বলেছি তা কি ঠিক ছিল? আমি ওকে একেবারে কাফির বলিনি যতটুকু মনে আছে, বলেছি এমন কাজ করলে কাফির হয়ে যাবে।

পরে এটা মনে পড়ার সাথে সাথে তওবা করেছি।

২. হাদীসে যে আছে কেউ কাউকে কাফির বললে দুজনের যেকোন একজন কাফির, এর মানে কি? 

৩. মেয়েদের নামাজের সময় কি কি অঙ্গ ঢাকতেই হবে? মুখমন্ডল খোলা রাখা যায়, মুখমন্ডল বলতে কতটুকু? একজন বলল, থুতনি নাকি ঢাকা জরুরি, এটা কি ঠিক?

৪. যেসব হাদীসে এসেছে এই কাজ যারা কাজ করে তারা আমার উম্মত নয়, যেমন সে প্রতারণা করে সে আমার উম্মত নয়, এসব ক্ষেত্রে কি বুঝানো হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার সেই কথা ঠিকই রয়েছে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু সে যদি তা না হয়ে থাকে তবে যে কাফের বলে সম্বোধন করে তার ওপরই পতিত হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।

অর্থাৎ কাহাকেও কাফের বলিয়া ফতোয় দিলে ইহা আর ব্যৰ্থ বা অনর্থ হয় না। সুতরাং যাহাকে কাফের বলা হইয়াছে সে যদি প্রকৃতপক্ষে কাফের হয়, তবে ফতোয়া ঠিক। অন্যথায় কাফের বলিয়া যে ফতোয়া দিয়াছে ফতোয় তাহার দিকে ফিরিয়া আসিবে। অতএব, কাফের হওয়ার ফতোয়া দিবার বেলায় অত্যধিক সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
ফাতহুল বারী গ্রন্থে আছেঃ

فقد باء بها أحدهما "، وهو بمعنى: " رجع " أيضا، قال النووي: اختلف في تأويل هذا الرجوع فقيل: رجع عليه الكفر إن كان مستحلا، وهذا بعيد من سياق الخبر، وقيل: محمول على الخوارج لأنهم يكفرون المؤمنين.
والتحقيق: أن الحديث سيق لزجر المسلم عن أن يقول ذلك لأخيه المسلم، وذلك قبل وجود فرقة الخوارج وغيرهم، وقيل: معناه: رجعت عليه نقيصته لأخيه ومعصية تكفيره، وهذا لا بأس به، وقيل: يخشى عليه أن يئول به ذلك إلى الكفر
সারমর্মঃ  
এই ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি সে এভাবে কাফের বলাকে হালাল মনে করে,তাহলে সে কাফির হবে।
কেহ কেহ বলেন এটি খাওয়ারেজদের উদ্দেশ্য তিলাওয়াত করা হয়েছে।  
তবে তাহকীকী কথা হলো, এই হাদীস আনা হয়েছে মুসলমানদের হুমকি ও সতর্কতার জন্য।
কেহ কেহ বলেন যে এতে উক্ত ব্যাক্তির উপর ভয় হয় যে এর কারনে সে কুফরের দিকে যাবে। 

(০৩)
নামাজে মহিলাদের জন্য চেহারা এবং কবজি পর্যন্ত হাত ও টাখনু পর্যন্ত পা ব্যতীত পূর্ণ শরীর সতর।

★চেহারা বলা হয়, এক জন অন্যজনের সামনে দাড়ালে যতটুকু মুখের যতটুকু অংশ দেখা যায়, ততটুকুই চেহারার অন্তর্ভূক্ত। থুতনির যতটুকু অংশ সামনে উপবিষ্ট ব্যক্তি দেখতে পান, ততটুকু অংশকে ঢেকে রাখা জরুরী। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৪)
এখানে উদ্দেশ্য সে পরিপূর্ণ মুমিন নয়, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শ পরিপূর্ণ অবলম্বন কারী নয়।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...