بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
বৈধ বিষয়ে সরকারি
বিধিনিষেধ মানা সকলের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। সরকারি নিয়ম মেনেই গাড়ীর রোড পার্মিট নিতে
হয়।তাই ড্রাইভারদের জন্য সরকারি নিয়মনীতি কে ফলো করাই উচিৎ। এবং অত্যাবশ্যকীয় ও বটে।
চার মাযহাব
সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ
- ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ
ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ
এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব। এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের
কাজ হবে না। কেননা হাদীস দ্বারা
প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না। (২৮/৩২৭)
হাফ ভাড়া সরকার
কর্তৃক নির্ধারিত। তাই ছাত্ররা হাফ ভাড়া দিবে। হ্যা কোনো ছাত্র সেচ্ছায় ফুল ভাড়া দিতে
চাইলে,তা দিতেও পারবে।
তবে ছাত্র না হলে একাজ করা জায়েজ হবে না। কারণ আপনাকে যে কারণে এ সুবিধাটি দেয়া
হচ্ছিল,
সেটির হকদার এখন আপনি নন। তাই মালিকপক্ষের সকলের অনুমোদন ছাড়া
ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দেয়া আপনার জন্য জায়েজ হবে না। এখনো ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া
কম দিলে সেটি ধোঁকাবাজীর অন্তর্ভূক্ত হবে। যা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
হাদীসে ইরশাদ
হচ্ছে-
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ
حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا، وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা
রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের উপর তরবারী উত্তলোন করে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, এবং যে আমাদের ধোঁকা
দেয়,
সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২২৪}
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে
প্রকৃতপক্ষে যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য হাফ
ভাড়া দেওয়া জায়েয আছে। যদিও পড়াশুনার পাশাপাশি কোন জব করছেন, এতে কোন সমস্যা
হবে না। আর যদি আপনি ছাত্র না হোন, তাহলে আপনার জন্য স্টুডেন্ট ভাড়া দেওয়া জায়েজ হবে না। কারণ আপনাকে যে কারণে এ সুবিধাটি দেয়া হচ্ছিল, সেটির হকদার এখন আপনি নন।