বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট-এ গোশত খাওয়ার ব্যাপারে বোধহয় একটু ছাড় দিয়ে ফেললেন বেশি ?
কমবেশি আমরা সবাই জানি, বাজারে মোরগ-মুরগি জবাই করার সময় কতটা গাফেল থাকে দোকানি-রা।
একটা হলো জায়েজ, আর একটা হলো তাকওয়া।
এখন জায়েজ হওয়ার জন্য-ও শর্ত আছে।
আর সন্দেহ করার মতো যথেষ্ঠ কারণ থাকলে কেন সন্দেহ করা ঠিক হবে না ?
যেই কোনো মুসলিম যদি বলে যে হালালভাবে জায়েজ পন্থায় জবেহ করা হয়েছে, সেই বলা কি যথেষ্ঠ হবে ?
যিনি বলেছেন, উনার অবস্থা সম্পর্কে কি কোনো ধারণার দরকার নেই ? শুধু উনার পরিচয় মুসলিম, এই কারণেই উনাকে বিশ্বাস করতে হবে ? সন্দেহ করা যাবে না ? তাকওয়ার দাবি বলে কি কিছু নেই ? শরীয়তের দাবি কি এইরকম আছে যে, সন্দেহের জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত ?
এখন মুসলমান-কে শুধু তার মুসলমান হওয়ার কারণেই (নামাজী হউক বা না হউক, আমানতদার হউক বা না হউক) যদি বিশ্বাস করে কাজ করা হয়, সেইটা কি ঠিক হবে ?
আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে মোটামোটি সকলেই কমবেশি জানি, অনেক হোটেল-রেস্তোরায় মরা মুরগি খাওয়ানো হয়, এইটা একেবারেই কমন প্র্যাকটিস। জেনে শুনে খাবার-এ ভেজাল কারা করে ? তারা কি মুসলমান নয় ? জেনে বুঝে বিষাক্ত কেমিক্যাল, রং, সেকারিন, ঘনচিনি দিয়ে খাবার কারা বানাচ্ছে ? উনারা কি মুসলমান নন ?
আমি কিছু মন্তব্য করলাম, মনে হলো আপনি/আপনারা এই বিষয়টাকে হালকা-ভাবেই নিলেন, অহেতুক সন্দেহ করতে নিষেধ করছেন। বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট-এ দেদারসে খাওয়া যাবে, সন্দেহ করা ঠিক হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই নয় কি ?
সন্দেহের জিনিস খেলে, অনিচ্ছেকৃত হারাম/নাজায়েজ খাবার খেলে ঈমান ও আমল এর নূর এর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় ? কোনো তাহসীর নেই এতে ?
এই টা কি নিরাপদ নয় যে বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট-এ গোশত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা, যদি সেই দোকান অপরিচিত হয়?
পরিচিত হলে সমস্যা নেই, যার আদিল-সত্যবাদী সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা থাকে।
নিচের লিংকটি চেক করে দেখবেন।
বিশ্বের প্রখ্যাত আলেম সাউথ আফ্রিকার মুফতি ইব্রাহিম দেসাই রাহঃ এর ওয়েবসাইটের লিংক। উনার মতামত (অনুমোদিত) টা একটু দেখবেন, এই সম্পর্কে।