আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
১।এক হিন্দু যাদেরকে ঠাকুর বলে সে একজনকে খুজতেছিলো সে আমাকে জিজ্ঞেস করল সে কই আমি বলছি অমুক জায়গায় গেছে সে সময় কি কারনে জানিনা তার প্রতি মনের সম্মান ও টান অনুভব হয় আমার মনে হয় ওসওয়াসার কারনে পরে আমি তা দূর করার চেষ্টা করছি এখন কি আমার ইমানের কোনো ক্ষতি হবে কি
২।বাবা মার অবাধ্য বলতে কি বুঝায় তাদের ছোটো খাটো হুকুম না মানা নাকি তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা
ছোট খাটো হুকুম বলতে রাত ১০টার আগে ঘুমাইতে যাবি

৩।নামাজের ভিতরে তাশাহুদ ও দুরুদ   আর বাহিরে অন্যন্য দোয়ায় কি গুন্নাহ করতে হবে কি না করলে চলবে কি

৪।নামাজের ভিতরে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ায় মাঝে মাঝে বায়ুর ব্যাগ হয়ে পেটের দিকে চলে যায় সেই যাওয়ার সময় একটা আওয়াজ হয় কিন্তু বায়ু ত্যাগ হওয়ার যে অনুভূতি তা হয় না।এখন আওয়াজ এর সাথে সেই অনুভূতি হলে কি সিওর হব যে বায়ু ত্যাগ হইছে।

৫।আবার বায়ু পেটের ভিতর যাওয়ার সময় আওয়াজ হয় না কিন্তু সন্দেহ হয় যে বায়ু গেছে কিনা এই পরিস্থিতিতে আমার করনীয় কি

৬/আমি ব্যবসার জন্য একটা ট্রেড লাইসেন্স করছি নাম ভ্যারাইটিজ দিয়ে যত ধরনের ব্যবসা করা যায় তা করব কিন্তু   সেখানে ব্যবসার ধরনে লিখা আছে (মুদি, মনোহারি,কনফেকশনারি, কম্পিউটার)আমি চেয়ারম্যান অফিসের লোককে বলছিলাম যে ব্যবসার ধরনে টেলিকম দেওয়ার কথা তিনি বলছে লাগবেনা এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ভ্যরাইটিজ স্টোর নাম দিয়ে যা যা করা যায় তা করতে পারব কি জায়েজ হবে কি

৭।বিড়ালের বাচ্চারা বিছানায় পায়খানা করে দেয় তাদেরকে ঘর থেকে পিটিয়ে ভাগানো যাবে কি

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
বাবা মার অবাধ্য বলতে বাবা মা কোনো কাজের আদেশ দিলে সাধ্যানুযায়ী সেই কাজকে বাস্তবায়িত করা। সন্তান বা পরিবারের কল্যাণের জন্য বাবা মা কোনো কাজের আদেশ দিলে সেই কাজকে বাস্তবায়ন না করাই অবাধ্যতা। অবাধ্যতার বিভিন্ন স্থর রয়েছে। সন্তানের শারিরিক ও মানষিক ক্ষতির দিকে লক্ষ্য করে বাবা যে আদেশ দেন, যথাযথ সেই আদেশকে পালন না করা, অবাধ্যতার সর্বনিম্ন স্থর।

(৩)
নামাজের ভিতরে তাশাহুদ ও দুরুদ  আর বাহিরে অন্যন্য দোয়াতে পূর্ণ তাজবীদ তথা গুন্নাহ ইত্যাদি করে তিলাওয়াত করা উত্তম।

(৪+৫)
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পায়ুপথ দিয়ে বাতাশ বের হয়েছে, সেই রকম কোনো অনুভূতি হলেই কেবল অজু ভঙ্গ হয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। নতুবা অজু ভঙ্গ হয়েছে মনে করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...