আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (11 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু মুহতারাম।

এখানে বলা হয়েছে পাগড়ী পরা সুন্নত নয়। এ বিষয়ে জানতে চাই।

 পাগড়ী ব্যবহার করা কারো জন্যই সুন্নাত নয়। এটি হ’ল দেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক আদত বা অভ্যাস। রসূল (ছাঃ) পাগড়ী পরেছিলেন এ কারণে যে, পাগড়ী পরিধান করা ছিল তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের অভ্যাসগত পোষাক। সে সময়ের আরব মুসলিম ও অমুসলিম সকলে পাগড়ী পরত। তিনি কখনও পাগড়ী (এমনকি টুপি) ব্যবহার করার নির্দেশও দেননি। পাগড়ী পরিধান করার ফাযীলত মর্মে কোন ছহীহ্ হাদীছও বর্ণিত হয়নি (বিস্তারিত দ্রঃ জাল ও য‘ঈফ হাদীছ সিরিজ হা/১২৯, ১৫৯, ৩৯৫, ১২১৭, ১২৯৬, ২৩৪৭, ৩০৫২)। শায়খ উছায়মীন, শায়খ বিন বায এবং সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফাতাওয়া বোর্ড এ মর্মে ফৎওয়া দিয়েছেন যে, পাগড়ী ব্যবহার করা সুন্নাত নয়।

প্রশ্ন (১৮/৫৮) : পাগড়ী পরা কি সবার জন্যই সুন্নাত? অনেকে চিল্লা দিয়ে পাগড়ী পরা শুরু করে। এ সম্পর্কে শরী‘আতের বিধান জানিয়ে বাধিত করবেন। (at-tahreek.com)

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জাবির রা. বলেন,
عن جابر بن عبد الله الأنصاري، " أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل مكة - وقال قتيبة: دخل يوم فتح مكة - وعليه عمامة سوداء بغير إحرام "، 
 মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কায়) প্রবেশ করলেন। তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি ছিল।(সহীহ মুসলিম-১৩৫৮)
পাগড়ী পরিধান করা সুন্নাতে যায়েদা যা মুস্তাহাব হিসেবে পরিগণিত। তা জরুরী নয় বরং পাগড়ী পরিধান আহলে আরবদের আদত বা অভ্যাগত ছিল অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাঃ পাগড়ীকে এবাদত হিসেবে পরিধান করেননি।কেউ যদি আল্লাহর রাসুল সাঃ এর অনুসরণের নিয়তে পরিধান করে তাহলে নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল কাজ।(জামেউল ফাতাওয়া ৩/১৬২)

মুগীরা ইবনে শুবা রা. বলেন,
একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করলেন এবং মাথার অগ্রভাগ ও পাগড়ির উপর মাসাহ করলেন।(সহীহ মুসলিম-৮১)


সাহাবা, তাবেয়ীগণও নামাযে এবং নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি ব্যবহার করতেন। দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী ১/৫৬

পাগড়ি বাঁধার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। সেগুলো হলো-
ক. পূর্ণ পাগড়ি মাথার ওপর বাঁধা এবং এর কোনো লেজ বা ঝুল না রাখা। 

খ.  পূর্ণ পাগড়ি মাথার ওপর বাঁধা এবং লেজ বা ঝুল পেছনে ঝুলিয়ে রাখা। 

নবী করিম (সা.) থেকে উভয় পন্থার পাগড়ি বাঁধার কথা প্রমাণিত। তবে তিনি সাধারণতঃ দু’কাঁধের মাঝামাঝি স্থানে পেছন দিকে পাগড়ির লেজ ঝুলিয়ে রাখতেন। 

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, রাসূলুল্লাহর (সা.) পাগড়ি দুই ধরণের ছিল। ছোট পাগড়ি ছিল আনুমানিক তিন গজ কাপড়ের, আর বড় পাগড়ি ছিল সাত গজ কাপড়ের। -আপকি মাসায়েল আওর উনকা হল

পাগড়ি টুপির ওপর এবং টুপি ছাড়া উভয়ভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের সঙ্গে সাদৃশ্য হতে পারে বিধায় পাগড়ি টুপির ওপর বাঁধা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...