উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাশরের ময়দান কোথায় হবে,এই ব্যাপারে কুরআন হাদীসে কোথাও স্পষ্ট আকারে উল্লেখ নাই।
তবে এক রেওয়ায়েত দ্বারা জানা যায় যে বায়তুল মুকাদ্দাস এর নিকটে হাশরের ময়দান কায়েম হবে।
,
কিন্তু এই রেওয়ায়াত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ রাঃ থেকে বর্ণিত, যিনি ঈসরাইলি রেওয়ায়েত বর্ণনা কারী হিসেবে প্রসিদ্ধ।
,
তাই বলতে হবে যে হাশরের ময়দান কোথায় কায়েম হবে এটা সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন।
এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছুই বলা যাবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/২০৭)
.
হাদীস শরীফে এসেছে
عن المنذر بن النعمان أنہ سمع وہب بن منبہ یقول: قال اللّٰہ تعالیٰ: لصخرۃ بیت المقدس: لأضعن علیک عرشی، ولأحشرن علیک خلقی و فیأتینک یومئذ داؤد راکباً۔ (التذکرۃ في أحوال الموتیٰ والآخرۃ للقرطبي ۲۲۹)
হযরত মুনযির বিন নু'মান থেকে বর্ণিত তিমি ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ রাঃ শুনেছেন, তিনি বলেন আল্লাহ তায়ালা বায়তুল মুকাদ্দাস এর প্রস্ত্রখন্ড কে লক্ষ্য করে বলেছেন নিশ্চয় আমি আমার আরশ তোমার উপর রাখবো, এবং তোমার উপর আমার মাখলুকদের জমা করবো,,,,,,
.
★★তবে হাশরের ময়দান যে এই দুনিয়ার যমিনেই হবে,এই ব্যাপারে অনেক দলিল পাওয়া যায়।
তবে সেটা মানুষের কল্পনার বাইরে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
يوم تبدل الارض غير الارض والسموات
ক্বিয়ামতের দিন বর্তমান পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবীতে পরিণত হবে (সুরা ইবরাহীম ৪৮)
অন্যেত্রে এসেছে
فيذرها قاعا صفصفا
পাহাড়-পর্বত সব একাকার হয়ে সমতল হয়ে যাবে (ত্বোয়াহা ২০/১০৬) ।
.
وتري الارض بارزة وحشرناهم
তুমি পৃথিবীকে দেখবে,একটি শুণ্য প্রান্তর,আমি সেখানেই তাদেরকে একত্রিত করবো
(সুরা কাহাফ ৪৭)
এক বর্ণনায় এসেছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ হাশরের স্থান হিসাবে শামের দিকে ইশারা করেছেন
(মুসনাদে আহমাদ হা/২০০৪৩।)
আর তৎকালীন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তীন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে ।
,
★★উল্লেখ্য যে এটা কেবলই রাসুল সাঃ এর ইশারা মাত্র। তাই এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছুই বলা যায়না।