ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ جَدَبَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ السَّمَرَ بَعْدَ الْعِشَاءِ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার সালাতের পর আমাদের নৈশালাপ নিষেধ করতেন অর্থাৎ কঠোরভাবে নিষেধ করতেন।
(ইবনে মাজাহ ৭০৩.মুসনাদে আহমাদ ৩৬৭৮, ৩৮৮৪।)
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْمُرُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فِي الأَمْرِ مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ وَأَنَا مَعَهُمَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَوْسِ بْنِ حُذَيْفَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ جُعْفِيٍّ يُقَالُ لَهُ قَيْسٌ أَوِ ابْنُ قَيْسٍ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ فِي قِصَّةٍ طَوِيلَةٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ فِي السَّمَرِ بَعْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ فَكَرِهَ قَوْمٌ مِنْهُمُ السَّمَرَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ وَرَخَّصَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ فِي مَعْنَى الْعِلْمِ وَمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ مِنَ الْحَوَائِجِ وَأَكْثَرُ الْحَدِيثِ عَلَى الرُّخْصَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ سَمَرَ إِلاَّ لِمُصَلٍّ أَوْ مُسَافِرٍ " .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা আবু বাকার (রাঃ)-এর সাথে মুসলমানদের স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করতেন। আমিও তাদের সাথে থাকতাম। -সহীহ। সহীহাহ– (২৭৮১)।
এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আওস ইবনু হুযাইফা ও 'ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ “উমর (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান। হাদীসটি উমার (রাঃ)-এর নিকট হতে আরো একটি সূত্রে একটু দীর্ঘ ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে। ইশার নামাযের পর কথাবার্তা বলার ব্যাপারে সাহাবা, তাবিঈন ও পরবর্তী যুগের আলিমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
একদল এটাকে মাকরূহ বলেছেন। অপর দলের মতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা ও অতি প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার অনুমতি রয়েছে। (ইমাম তিরমিযী বলেন) বেশিরভাগ হাদীস হতে অনুমতির কথাই প্রমাণিত হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “নামাযী এবং মুসাফির ব্যতীত কারো জন্য ইশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা জায়িয নেই"
(তিরমিজি ১৬৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রাসুলুল্লাহ সাঃ সাহাবায়ে কেরামদের সাথে ইশার পর
মুসলমানদের স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করতেন।
সুতরাং এশার পর ইলম জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা ও অতি প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার অনুমতি রয়েছে।
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত এশার পর তা'লিম মাশওয়ারা করাও জায়েজ আছে।