জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহিলা শিক্ষিকার কাছে তিলাওয়াত শোনার ব্যবস্থা করা কর্তৃপক্ষের জন্য করনীয় ছিলো।
তদুপরি তার সামনে সুরা শোনানো ব্যাতিত কোনো উপায় যেহেতু ছিলোনা,তাই চেহারা,হাত পা ঢাকা সহ পরিপূর্ণ পর্দা মেনে সুরা তিলাওয়াত করে থাকলে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা ।
তবে এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বলা যাবেনা।
ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা।
নির্জন কক্ষে বা একাকিত্বে হওয়া যাবেনা।
★উল্লেখ্য যে অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে যেহেতু মহিলাদের কন্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত।
তাই এভাবে গায়রে মাহরাম শিক্ষকের সামনে তিলাওয়াত না করাই সতর্কতা।
তাই আগামীতে এই ব্যপারে সজাগ থাকতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ