আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
খুব বিপদে আছি।ওয়াসওয়াসায় ভুগছি ব্যাপক।

গেঞ্জি নাপাক প্যান্টের সাথে(সামান্য প্রস্রাব ও মযীযুক্ত) ডিটারজেন্ট এ মিশিয়ে রাখি।এরপর সেই হাতে নলকা চালু করি।এরপর কাচা শেষে নলকা বন্ধ করেছি ও কাপড় নেড়ে দিয়েছি।নলকা আর ধোয়া হয়নি।

১)এই জামা কি নাপাক?

২)এই গেঞ্জি পরে হাতা দিয়ে মুখের তৈলাক্ততা মুছেছি।খাওয়ার পর মুখে পানি দিয়েছি।এর ফলে কি হাত ও মুখ নাপাক হয়ে গেছে?

৩)মুখ থেকে পানি মেঝেতে পরেছে।এতে কি মেঝে নাপাক হয়ে গেছে?

৪)গেঞ্জি দিয়ে মুখ মোছার পর মুখ ধুয়েছি পানি দিয়ে আর সেই পানি বেসিনে পরেছে।এতে কি বেসিন,হাত,মুখ নাপাক হউএ গেছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি কাপড় 
ধোয়া শেষে সেই নাপাক লেগে থাকা নলকা স্পর্শ করে হাত না ধুয়েই সেই হাত দিয়ে গেঞ্জি,জামা ধরে থাকেন,তাহলে উক্ত গেঞ্জি,জামা নাপাক হয়ে যাবে।

আর যদি নলকা স্পর্শ করে হাত ধোয়ার পর সেই হাত দিয়ে গেঞ্জি,জামা ধরে থাকেন,তাহলে উক্ত গেঞ্জি,জামা নাপাক হয়ে যাবেনা।

(০২)
আপনি যদি নাপাক লেগে থাকা নলকা স্পর্শ করে হাত না ধুয়েই সেই হাত দিয়ে গেঞ্জি ধরে থাকেন,তাহলে উপরোক্ত ছুরতে আপনার হাত,মুখ (চেহারা) নাপাক হয়ে যাবে।

(০৩)
আপনি যদি নাপাক লেগে থাকা নলকা স্পর্শ করে হাত না ধুয়েই সেই হাত দিয়ে গেঞ্জি ধরে থাকেন,তাহলে উপরোক্ত ছুরতে মেঝে নাপাক হয়ে গিয়েছে। 

(০৪)
আপনি যেহেতু মুখ পানি দিয়ে ধুয়েছেন,তাই আপনার মুখ,হাত পাক হয়ে গিয়েছে।
আর এই নাপাক পানি বেসিনে পড়ার পর যদি পাক পানি সেই বেসিনে গড়ে,তাহলে বেসিনও পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 153 views
0 votes
1 answer 170 views
...