ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ভালো গাইড গুলো নেয়ার ক্ষেত্রে যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা না থাকে,তাহলে নিতে পারবেন।
নতুবা পড়ে থাকা বলতে যাহা বুঝিয়েছেন,শুধু সেগুলোই নিতে পারবেন।
(০২)
হ্যাঁ, সেই গাইড ব্যাবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবে।
(০৩)
তাহলে ভালো গাইড নেওয়াও জায়েজ হবে।
(০৪)
শরীয়তের বিধান হলো নামাজের ভিতর নিয়ত পরিবর্তন করার দ্বারা নামাজ পরিবর্তন হয়ে যায়না।
অবশ্য যদি ২য় নিয়ত করে যদি তাকবিরে তাহরিমাও বলে,তাহলে প্রথম নিয়ত খতম হয়ে যাবে,২য় নিয়তের নামাজ শুরু হয়ে যাবে।
সুতরাং যদি শুধু নিয়ত পরিবর্তন করা হয়,সেই হিসেবে নতুন করে তাকবীরে তাহরিমা না বলা হয়,তাহলে যেই নামাজ প্রথম থেকেই শুরু করেছিলো,সেটাই আদায় হবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 441):
"(قوله: ولاتبطل بنية القطع) وكذا بنية الانتقال إلى غيرها ط (قوله: ما لم يكبر بنية مغايرة) بأن يكبر ناوياً النفل بعد شروع الفرض وعكسه، أو الفائتة بعد الوقتية وعكسه، أو الاقتداء بعد الانفراد وعكسه. وأما إذا كبر بنية موافقة كأن نوى الظهر بعد ركعة الظهر من غير تلفظ بالنية فإن النية الأولى لاتبطل ويبني عليها. ولو بنى على الثانية فسدت الصلاة ط (قوله: الصوم) ونحوه الاعتكاف، ولكن الأولى عدم الاشتغال بغير ما هو فيه
যার সারমর্ম হলো নামাজ ভেঙ্গে ফেলার নিয়ত দ্বারা নামাজ ভেঙ্গে যায়না,এক নামাজ থেকে অন্য নামাজের নিয়ত করার দ্বারাও কিছুই হয়না।
হ্যাঁ সে যদি সাথে সাথে তাকবীরে তাহরিমা বলে,তাহলে অন্য নামাজ শুরু হবে।
যদি নিয়তের সাথে সাথে তাকবীরে তাহরিমাও বলে,তাহলে নতুন নামাজের মোতাবেক রাকাতের সংখ্যা এবং কেরাত ইত্যাদি আদায় করবে।
আর যেই নিয়ত প্রথমে করেছিলো,সেটার কাজা পরবর্তীতে আবার আদায় করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]
তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিয়তে ভুল হলে তথা ফজরের জায়গায় জোহরের নামাজের নিয়ত করলে,তাহলে নামাজের মধ্যেই মনে মনে নিয়ত শুদ্ধ করে নামাজের মধ্যেই তাকবিরে তাহরিমা বলবেন।
অন্য কোনো নিয়ত গত ভুল হলে সমস্যা নেই।
উচ্চারণ এর ক্ষেত্রে ভুল হলে তাহা শুধরে নিবেন। অন্য কোনো ভুল হলে তাহা ঠিক করে নিবেন।
যদি ফরজ তরক করেন,তাহলে সেটি মনে পড়া মাত্র আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।
আর ওয়াজিব ছেড়ে গেলে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।
সুন্নাত ছেড়ে গেলে কোনো কিছুই করতে হবেনা।