আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
শাইখ আমার কয়েকটা প্রশ্ন ছিলো।

১.আমার খুব কাছের একজন আমাকে আমাদের স্কুল থেকে গাইড এনে দিতো।তো আমিও পড়তাম তখন এতো কিছু জানতাম না যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত তা আনা জায়েজ নয়।কিন্তু,এখন আমি জানি, আলহামদুলিল্লাহ। আর,তাই আজ স্কুলে প্রধান শিক্ষকের নিকট অনুমতি নিতে গিয়েছিলাম।আমি উনাকে বলেছিলাম যে,স্কুলে তো অনেক গাইড পড়ে থাকে তো ওই গুলো পড়ার অনুমতি চাই।আচ্ছা,যদি এইরকম পড়ে থাকা গাইড না হয়ে ভালো গাইডই হয় তাহলে কি আমার জন্য ওইগুলো পড়া জায়েজ?(আমি তো বলেছি পড়ে থাকা গাইড)

২.আমি আরোও বলেছিলাম যে,আমি আগে আপনার অনুমতি না নিয়ে স্কুল থেকে গাইড নিয়েছিলাম,কিন্তু এখন অনুমতি চাই।(এমন টাইপ কিছুই বলেছিলাম ঠিক মনে নেই)।আমার তখন এইটা মনেই ছিলো না যে,"আমি তো নিযে গাইডগুলো আনি নি আমাকে স্কুলের ই একজন এনে দিয়েছিলো।আচ্ছা,এইখানে যে আমি ভুলে "আমি এনেছি "এইটা বলে অনুমতি নিয়েছিলাম,তাহলে আকি ওই গাইড ব্যাবহার করা আমার জন্য জায়েজ হবে?

৩.উপরোক্ত ২  প্রশ্নের ক্ষেত্রে যদি নাজায়েজ হয় আমার কিছু কথার ভুলের কারনে (অনিচ্ছাকৃত)। তবুও,আমি যদি যা পরিপূর্ণ সত্য তা বলতাম তাহলে প্রধান শিক্ষক আমাকে মানা করতো না।এই ক্ষেত্রে কি জায়েজ হবে?একই উত্তর দিতেন।

৪.নামাযে যদি নিয়তে কিংবা উচ্চারণে অথবা অন্য কোনো ভুল হয় তাহলে কি নামায সাথে সাথে ছেড়ে দেওয়া যাবে?নাকি পরিপূর্ণ ভাবে শেষ করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ভালো গাইড গুলো নেয়ার ক্ষেত্রে যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা না থাকে,তাহলে নিতে পারবেন। 

নতুবা পড়ে থাকা বলতে যাহা বুঝিয়েছেন,শুধু সেগুলোই নিতে পারবেন।

(০২)
হ্যাঁ, সেই  গাইড ব্যাবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবে।

(০৩)
তাহলে ভালো গাইড নেওয়াও জায়েজ হবে। 

(০৪)
https://ifatwa.info/6689/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

শরীয়তের বিধান হলো নামাজের ভিতর নিয়ত পরিবর্তন করার দ্বারা নামাজ পরিবর্তন হয়ে যায়না।
অবশ্য যদি ২য় নিয়ত করে যদি তাকবিরে তাহরিমাও বলে,তাহলে প্রথম নিয়ত খতম হয়ে যাবে,২য় নিয়তের নামাজ শুরু হয়ে যাবে।
সুতরাং যদি শুধু নিয়ত পরিবর্তন করা হয়,সেই হিসেবে নতুন করে তাকবীরে তাহরিমা  না বলা হয়,তাহলে যেই নামাজ প্রথম থেকেই শুরু করেছিলো,সেটাই আদায় হবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 441):
"(قوله: ولاتبطل بنية القطع) وكذا بنية الانتقال إلى غيرها ط (قوله: ما لم يكبر بنية مغايرة) بأن يكبر ناوياً النفل بعد شروع الفرض وعكسه، أو الفائتة بعد الوقتية وعكسه، أو الاقتداء بعد الانفراد وعكسه. وأما إذا كبر بنية موافقة كأن نوى الظهر بعد ركعة الظهر من غير تلفظ بالنية فإن النية الأولى لاتبطل ويبني عليها. ولو بنى على الثانية فسدت الصلاة ط (قوله: الصوم) ونحوه الاعتكاف، ولكن الأولى عدم الاشتغال بغير ما هو فيه 
যার সারমর্ম হলো নামাজ ভেঙ্গে ফেলার নিয়ত দ্বারা  নামাজ ভেঙ্গে যায়না,এক নামাজ থেকে অন্য নামাজের নিয়ত করার দ্বারাও কিছুই হয়না।
হ্যাঁ সে যদি সাথে সাথে তাকবীরে তাহরিমা বলে,তাহলে অন্য নামাজ শুরু হবে।

যদি নিয়তের সাথে সাথে তাকবীরে তাহরিমাও বলে,তাহলে নতুন নামাজের মোতাবেক রাকাতের সংখ্যা এবং কেরাত ইত্যাদি আদায় করবে।
আর যেই নিয়ত প্রথমে করেছিলো,সেটার কাজা পরবর্তীতে  আবার আদায় করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  

ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]

তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিয়তে ভুল হলে তথা ফজরের জায়গায় জোহরের নামাজের নিয়ত করলে,তাহলে নামাজের মধ্যেই মনে মনে নিয়ত শুদ্ধ করে নামাজের মধ্যেই তাকবিরে তাহরিমা বলবেন।

অন্য কোনো নিয়ত গত ভুল হলে সমস্যা নেই।

উচ্চারণ এর ক্ষেত্রে ভুল হলে তাহা শুধরে নিবেন। অন্য কোনো ভুল হলে  তাহা ঠিক করে নিবেন।
যদি ফরজ তরক করেন,তাহলে সেটি মনে পড়া মাত্র আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।  
   
আর ওয়াজিব ছেড়ে গেলে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।  
সুন্নাত ছেড়ে গেলে কোনো কিছুই করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
...