আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
Assalamu alaikum shayekh
1) আল্লাহ এর মোজেজা অস্বীকার করলে কি সে কাফের? সে নিশ্চিত না এটা কি আল্লাহ এর মোজেজা নাকি জাদুকরের যাদু?

যেমন অনেক সময় দেখি ফলের মধ্যে আল্লাহ লেখা, চোখের মণিতে আল্লাহ লেখা বা অনেক অবিশ্বাস্য কাজ হয়ে থাকে।এখন যদি কেউ এইটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে ল কাফের? একজন সাধারণ ব্যাক্তি জে জানে না এটা সঠিক কিনা তাহলে সে ব্যাপারে তার আকিদা কিরূপ হবে?

2)আমি নিয়ত করেছিলাম 40 দিন জামাতে নামাজ পড়ব।কিন্তু 36 তম দিনে আমি যখন মাগরিব পড়তেছি তখন হটাত মনে হয়েছে ওযু নাই কিন্তু আমি নামাজে দাড়ানোর আগে নিজেকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছি ওযু আছে কিনা? তখন নিশ্চিত ছিলাম ওযু আছে।কিন্তু নামাজে দাড়ানোর পর আমার মনে ওয়্যাসওয়াসা আছে জে ওযু নাই এবং আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো না ওযু আছে কি নাই।

এমতাবস্থায় আমি নামাজ কন্টিনিউ করি।এখন আমার কি আবার নামাজ পড়া লাগবে? আমার নিয়ত জে ছিল 40 দিন টা কি পুরোন হয়েছে????

3) ইমাম সাহেব মুখে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে তারপর ঘাড় ডানে নেয়, কিন্তু আমি তো শুনা মাত্র সালাম ফিরিয়ে ফেলি অর্থাৎ ইমাম এর আগে ঘাড় ঘুরিয়ে সালাম ফিরাই।আমার কি নামাজ হবে?

4)আমার বাবা ব্যাংকে চাকরি করতো।এখন অবসরে আছেন। সরকার আব্বুকে পেনশন দেয় এককালীন 1 কোটি 30 লাখ টাকা আর মাসিক হিসেবে 45 হাজার টাকা।এই টাকা কি হালাল? এই টাকা কি আমার জন্য ( আমি এখনও আয় রোজকার করি না।ছাত্র) হালাল?

5)জামাতে নামাজ পড়া কালীন যখন সেজদা দিতে জাই , আমি লম্বা বিধায় দুই কার্পেটের মাঝে আমার কপাল করে অর্থাৎ  আমি শক্ত জায়গা খুঁজে পাই না ।এখন আমার করণীয় কি? ছোট করে সিজদা দিবো?

6) বে নামাযীর / ইসলামবিদ্বেষী/ মুরতাদের বাসায় ভাত খাওয়া যাবে কি?

7) মুরতাদের জানাজা পড়া যাবে কি?

8)কেও যদি সাহাবীদের কাফের বলে তাহলে কি সে কাফের?


9) বুখারী শরীফে আছে কেও যদি 40 দিন টানা তাহাজ্জুদ পড়ে তাহলে আল্লাহ তার আশা পুরোন করেন।এটা কি ঠিক,??


যদি ঠিক থাকে তাহলে এই তাহাজ্জুদ কি রাত্রের শেষ ভাগই পড়া লাগবে? আমি যদি 12/ 1 টায় পড়ি তাহলে হবে না???


10) ওযু ছাড়া মুখস্ত কুরআনের আয়াত পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কুরআনে বর্ণিত কোনো মু'জিযাকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ব্যাক্তি কাফের হবেনা।

(০২)
আপনি নামাজ শুরুর আগে যেহেতু নিশ্চিত ছিলেন যে অযু আছে।
তাই আপনার অযু ছিলো।

সুতরাং পুনরায় আপনাকে সেই নামাজ আদায় করতে হবেনা।

পরবর্তী দিন গুলোতে কোনো জামাতের তাকবিরে উলা মিস না গিয়ে থাকলে আপনার ৪০ দিন পুরন হয়েছে।    

(০৩)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে। 

(০৪)
তাই উক্ত টাকা হারাম।
আপনি তাহা থেকে কিছুই নিতে পারবেননা।
নিলে পরবর্তীতে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে। 

আপনি নিজে কোনো হালাল ইনকাম (টিউশনি)  করতে পারেন।

(০৫)
হ্যাঁ ছোট করে সেজদাহ দিতে পারবেন।

(০৬)
হ্যাঁ খাওয়া যাবে।
তবে দ্বীনের প্রতি দাওয়াত ও দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করার নিয়তে খাবেন।

(০৭)
না,পড়া যাবেনা।

(০৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু সে যদি তা না হয়ে থাকে তবে যে কাফের বলে সন্বোধন করে তার ওপরই পতিত হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম)

★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিও হাদীস অনুপাতে কাফের হয়ে যাওয়ার কথা। 
তবে উলামায়ে কেরামগন এই হাদীসকে ধমকানো মূলক বলেছেন।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের না হলেও সেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

(০৯)
★এমনটি খুজে পাইনি।

মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে লক্ষ্য করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করোঃ-

তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন। ’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ১৬)

হাদিস শরিফে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাজ। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

★তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সময়
তবে তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষ প্রহরে ঘুম থেকে ওঠার পর। 

★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি 12/ 1 টায় তাহাজ্জুদ পড়েন,তাহলেও ফজিলত পাবেন।
ইনশাআল্লাহ।   

হাদিস শরিফে এসেছে, সাউবান (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, রাত্রিজাগরণ কষ্টকর ও ভারী জিনিস, তাই তোমরা যখন (শোয়ার আগে) বিতর পড়বে তখন দুই রাকাত (নফল) নামাজ পড়ে নেবে। পরে শেষ রাতে উঠতে পারলে ভালো, অন্যথায় এই দুই রাকাতই ‘কিয়ামুল লাইল’-এর ফজিলত লাভের উপায় হবে। ’ (সুনানে দারেমি, হাদিস : ১৬৩৫; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১১০৬; তাহাবি, হাদিস : ২০১১)

(১০)
হ্যাঁ পড়া যাবে।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...