ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কুরআনে বর্ণিত কোনো মু'জিযাকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ব্যাক্তি কাফের হবেনা।
(০২)
আপনি নামাজ শুরুর আগে যেহেতু নিশ্চিত ছিলেন যে অযু আছে।
তাই আপনার অযু ছিলো।
সুতরাং পুনরায় আপনাকে সেই নামাজ আদায় করতে হবেনা।
পরবর্তী দিন গুলোতে কোনো জামাতের তাকবিরে উলা মিস না গিয়ে থাকলে আপনার ৪০ দিন পুরন হয়েছে।
(০৩)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে।
(০৪)
তাই উক্ত টাকা হারাম।
আপনি তাহা থেকে কিছুই নিতে পারবেননা।
নিলে পরবর্তীতে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
আপনি নিজে কোনো হালাল ইনকাম (টিউশনি) করতে পারেন।
(০৫)
হ্যাঁ ছোট করে সেজদাহ দিতে পারবেন।
(০৬)
হ্যাঁ খাওয়া যাবে।
তবে দ্বীনের প্রতি দাওয়াত ও দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করার নিয়তে খাবেন।
(০৭)
না,পড়া যাবেনা।
(০৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু সে যদি তা না হয়ে থাকে তবে যে কাফের বলে সন্বোধন করে তার ওপরই পতিত হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিও হাদীস অনুপাতে কাফের হয়ে যাওয়ার কথা।
তবে উলামায়ে কেরামগন এই হাদীসকে ধমকানো মূলক বলেছেন।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের না হলেও সেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
(০৯)
★এমনটি খুজে পাইনি।
মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে লক্ষ্য করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করোঃ-
তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন। ’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ১৬)
হাদিস শরিফে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাজ। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)
★তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সময়
তবে তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষ প্রহরে ঘুম থেকে ওঠার পর।
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি 12/ 1 টায় তাহাজ্জুদ পড়েন,তাহলেও ফজিলত পাবেন।
ইনশাআল্লাহ।
হাদিস শরিফে এসেছে, সাউবান (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, রাত্রিজাগরণ কষ্টকর ও ভারী জিনিস, তাই তোমরা যখন (শোয়ার আগে) বিতর পড়বে তখন দুই রাকাত (নফল) নামাজ পড়ে নেবে। পরে শেষ রাতে উঠতে পারলে ভালো, অন্যথায় এই দুই রাকাতই ‘কিয়ামুল লাইল’-এর ফজিলত লাভের উপায় হবে। ’ (সুনানে দারেমি, হাদিস : ১৬৩৫; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১১০৬; তাহাবি, হাদিস : ২০১১)
(১০)
হ্যাঁ পড়া যাবে।