ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ শরীফ পাঠ করা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ مَالِكٍ الْجَنْبِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ، يَقُولُ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَدْعُو فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَجِلَ هَذَا " . ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ أَوْ لِغَيْرِهِ " إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِتَحْمِيدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ ثُمَّ لِيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لِيَدْعُ بَعْدُ بِمَا شَاءَ "
মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... ফাযালা ইবন উবায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তি কে সালাতে দু’আ করতে শুনতে পেলেন। কিন্তু সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ পাঠ করে নি। তিনি তখন বললেনঃ এতো বড় তাড়াহুড়া করে ফেললে। এরপর তিনি তাকে ডাকলেন। তাকে বা অন্যকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত (নামায) আদায় করবে তখন যেন সে (দু’আর পূর্বে) শুরুতে আল্লাহর হামদ ও সানা সিফাত বর্ণরা করে পরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ পাঠ করে এরপর যেন সে তার যা চায় সে দু’আ করবে।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দরুদ শরীফ পাঠ করা তো ফরজ বা ওয়াজিব জাতীয় বিধান নয়।
সুতরাং উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে আবার তাহা পড়তে হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
(০২)
এটি যেহেতু শেষ বৈঠকে,তাই সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
(০৩)
কুরআনের শেষ দিক হতে যেই সুরা গুলি আপনার কাছে বেশি সহজ লাগে,সেগুলো পাঠ করলে এই মনে না থাকা জনিত সমস্যা আর হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
(০৪)
নিজ বাবা মাকে নামাজের আগে জাগিয়ে দিতে বলবেন।
মোবাইলে এলার্ম দিবেন।
মোবাইল নিজের থেকে কিছুটা দূরে রাখবেন,যাতে এলার্ম বন্ধ করার জন্য নিজেকে উঠে পায়ে হেটে কিছু দূর যেতে হয়।
এতেও কাজ না হলে একাকী না ঘুমিয়ে পাশে কোনো বোন বা বান্ধবী বা কোনো মহিলা আত্মীয় রাখবেন।
তাতেই ইনশাআল্লাহ কাজ হবে।
(০৫)
যে ওয়াক্তে সাদা স্রাব দেখা যায় না,সেই ওয়াক্তে ওয়াশ না করে স্বলাত পড়ে নেয়া ঠিক আছে।
আপনি যখন ক্লাশ করতে যান,তখন এহেন অবস্থা হলে বা যদি প্রবল ধারনা হয় যে সাদা স্রাব এসেছে,তাহলে অবশ্যই উক্ত স্থান ও কাপড় পাক করতে হবে।
আপনাকে যেকোনো ওয়াশরুম ইত্যাদিতে যেতে হবে।
সেখানে গিয়ে ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আগে চারদিকে পানি ঢেলে দিবেন।
এরপরে নিজে পবিত্র হয়ে কাপড় পরিবর্তন করবেন।
(০৬)
উক্ত বারান্দা মসজিদেরই অন্তর্ভুক্ত হলে এটি জায়েজ হবেনা।
আর যদি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত না হয়,তাহলে সমস্যা নেই।
(মসজিদের অন্তর্ভুক্ত কিনা,সেটি মসজিদের মুয়াজ্জিন বা কর্তৃপক্ষ থেকেই জেনে নিতে পারেন।)
(০৭)
এখানে ইনবক্সে মেসেজ পাঠাতে পারেন।