আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
210 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমি একটা বিষয় নিয়ে অনেক ওয়াসওায়াস ভিতর আছি দয়া করে আমাকে একটু বুঝিয়ে দিলে অনেক উপকৃত হতাম
আমি অনেক দিন আগে একটা ছেলেকে মোবাইল ফোনে মেসেন্জারের মাধ্যমে কবুল বলেছিলাম। এখন ছেলেটাকে যখন আমি জিজ্ঞেস করি তখন সে বলে না তুমি তো আমায় ফোনে কথা বলার  সময় কবুল বলেছিলে আমিও  বলেছি আমার বন্ধুরাও তা শুনেছে। এখন আমি কিছুতেই মনে করতে পারছি না এমন কিছু আমি বলেছি কিনা এই নিয়ে প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছি তবে কিছুতেই আমার মনে পরছে না আদোও বলেছি কি না। এক্ষেত্রে কবুল বলে থাকলেও কি বিয়ে হয়ে গিয়েছে? আমি অনেক ওয়াসওয়াসায় ভুগছিলাম তাই ছেলেটিকে বলি আমাকে তাহলে তালাক দিয়ে দাও সে কিছুতেই তা দিতে চাচ্ছে না  এখন আমি পরে তালাকের মাসআলা পড়ে জানতে পারি মেয়েরাও তালাক দিতে পারে তাই একবার হয়ত বলেছিলাম যদি আমার বিয়ে হয়ে থাকে আর আমাকে অধিকার দেয়া হয় তাহলে তালাক ( এক্ষেত্রে আমি এটা মুখে বলেছি কিনা মনে করতে পারছি না একবার মনে হয় বলেছি আবার মনে হয় বলনি) এক্ষেত্রে উক্ত বিয়ে না হয়ে থাকলে পরে  আমাক অন্য কোথাও বিয়ে হলে আর আমাকে তালাকের অধিকার দিলে কি তা সাথে সাথে পতিত হবে?(আমি ৩ তালাক বলেছি কিনা তাও মনে করতে পারছি না) ছেলেটিকে মেনে নেয়া সম্ভব না। মা-বাবা মানবেন না আমিও চাই না তার সাথে থাকতে। এই সব বিষয় নিয়ে আমি অনেক ওয়াসওয়াসায় ভুগছি এক্ষেত্রে আমার অন্য কোথাও বিয়ে হলে কি তা জায়েজ হবে? না হলে আমার কি করণীয় দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

আরো জানুনঃ 

প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।
আপনি নিশ্চিন্তে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।

যেহেতু আগের সেই বিবাহ শুদ্ধই হয়নি,তাই তালাকের কোনো প্রশ্নই উঠেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর তাহলে আমি যে বলেছিলাম ❝যদি বিয়ে হয়ে থাকে আর আমাকে অধিকার দেয় তাহলে তালাক ❞ এ কথার জন্য পরে আমার বিয়ে হলে আর তালাকের অধিকার দিলে কি তা পতিত হবে(শর্তযুক্ত তালাক হবে কি ?নাকি আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হবে না?) দয়া করে বলবেন হুজুর।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...