আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার কয়েক বছর আগে পড়াশোনার জন্য বেশ কিছু অর্থ এক ব্যক্তির থেকে আমার বাবা এক হিন্দু লোকের থেকে লোন নেয়, বিরাট অংকের একটা সুদের বিনিময়ে। আমি ওই সময় হালাল হারামের বেপারে ওতোটা সচেতন ছিলাম না,আমি জানতাম সুদ খাওয়া হারাম, দেওয়া যে হারাম তা জানতাম না,বা বলা চলে জানার জন্য খোজও করিনি।আমি এই কাজের জন্য অনুতপ্ত আমি তাওবা করেছি সুদ থেকে বের হয়ে আসবো আল্লাহ কে ওয়াদা করেছি

এখনো পযর্ন্ত আমাদের এই সুদ দিয়ে যেতে হচ্ছে যেহেতু লোন শোধ হয়নি। যার থেকে লোন নেয়া হয় সে বিভিন্ন সময় বাড়িতে এসে টাকার জন্য গালমন্দ করে,  গন্ডগোল করে। কয়েকবার এরকম হয়েছে ওই লোককে টাকা দিয়ে বিদায় করার জন্য আমার কাছে জমা রাখা আমার ভাই এর টাকা থেকে ভাইকে না জানিয়ে টাকা দিতে  বাধ্য হয়েছি ।আমানতের খেয়ানত হয়ে গেল এই জন্যও আমার মধ্যে অনুশোচনা কাজ করে যদিও আমি আমার ভাই টাকা তাকে ফেরত দেয়ার ইরাদা রাখি।
আমাদের কোন জমানো টাকা নাই। সম্পদ বলতে বাবার বাড়ি আছে যেটায় আমারা থাকছি আর ভাড়া দিয়ে খাবার খরচ চলছে।  আর খুবই সামান্য কিছু স্বর্ন। আমার মায়ের বাবার বাড়ির অংশ আমার মা বিক্রি করে লোন পরিশোধ করতে চায় কিন্তু তার ভাই অংশ দিতে তালবাহানা করে যাচ্চছে।আমাদের কোন এরকম রিলেটিভ বা পরিচিত কেউ নেই যে আমাদের সুদ ছাড়া টাকা ধার দিবে।
এই অবস্থায় আমাকে অনেকে বলছে ব্যাংক থেকে লোন নিতে। তাদের কথা হলো আমিতো ইতিমধ্যে সুদের মধ্যেই আছি।  ব্যাংক থেকে লোন নিলে এর সুদ, আমার বর্তমানের দেওয়া সুদ থেকে কম হবে আর যেহেতু হিন্দু ব্যক্তি টাকার জন্য গালাগাল করছে তাকে পরিশোধ করে দেয়া যাবে,এবং ব্যাংংকের সুদের হার যেহেতু আমার বর্তমানের দেয়া সুদের থেকে কম আমি তারাতারি এই লোন পরিশোধ করে সুদ থেকে বের হতে পারবো।

আমাকে যদি হিন্দু লোকটি ২ বছরের মতো সময় দিতো আমি তার লোন পরিশোধ করে দিতে পারতাম চাকরি করে কিন্তু সে এসব কিছু শুনতে রাজিনা।
আমার কি করণিয়, দয়া করে বলবেন?আমি না পারছি এই লোকের ডেইলি ডেইলি গন্ডগোল নিতে, না পারছি সুদ থেকে বের হতে না পারছি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য নিজেকে মানাতে। আমার এখন কি করা উচিত? আমি সুদ মুক্ত জীবন চাই

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করলে এতে সুদ প্রদানের গুনাহ হবে।
আপনি সূদ থেকে আপাতত  মুক্ত হতে পারলেননা।

এর চেয়ে ভালো হয়,উক্ত স্বর্ণ বিক্রয় করে এর মূল্য+ আপনার ভাইকে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলে তার টাকা দিয়ে লোন শোধ করা।
তাতে কাজ না হলে আপনার মায়ের অংশ আইনি ভাবে লড়ে হলেও সেটি আয়ত্ত্বে নিয়ে এসে তা দিয়ে লোন শোধ করা।
,
কোনোভাবেই লোন শোধ করার কারনে আপনি ব্যংক থেকে লোন নিলে অবশ্যই ইস্তেগফার পাঠ চালিয়ে যাবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...