জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا لعلكم ترحمون ” يعني في الصلاة المفروضة
অর্থ : যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের প্রতি করুণা করা হয় (ফরজ নামাজে)
হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর মতও তাই। তাফসীরে তাবারীতে বলা হয়েছে:
صلى ابن مسعود، فسمع أناسا يقرءون مع الامام، فلما انصرف، قال: أما آن لكم أن تفقهوا ؟ أما آن لكم أن تعقلوا ؟ وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا كما أمركم الله
অর্থাৎ হযরত ইবনে মাসঊদ রা. নামায পড়ছিলেন, তখন কতিপয় লোককে ইমামের সঙ্গে কেরাত পড়তে শুনলেন। নামায শেষে তিনি বললেন : তোমাদের কি অনুধাবন করার সময় আসেনি, তোমাদের কি বোঝার সময় হয় নি? যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন। (৯ খ. ১০৩ পৃ.)
হযরত আবূ মূসা আশআরী রা. বলেছেন,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا قرأ الإمام فأنصتوا، فإذا كان عند القعدة فليكن أوّل ذكر أحدكم التشهد. أخرجه مسلم (৪০৪) في باب التشهد في الصلاة، وأحمد في المسند ৪/৪১৫ (১৯৯৬১)، وأبو داود (৯৭৩) وابن ماجه (৮৪৭) واللفظ له. ؟
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন ইমাম কুরআন পড়বে,তোমরা তখন চুপ করে থাকবে। আর বৈঠকের সময় তাশাহহুদ-ই প্রথম পড়তে হবে।
(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪০৪; আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯৭৩; ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮৪৭; মুসনাদে আহমাদ, ৪খ, ৪১৫ পৃ, হাদীস নং ১৯৯৬১। ইমাম আহমদ, (দ্র. তামহীদ ১১/৩৪), ইমাম মুসলিম, ইবনুল মুনযির (দ্র. আল আওসাত, ৩/১০৫), ইমাম ইবনে জারীর তাবারী র. (দ্র. তাফসীরে তাবারী, ৯/১০৩) ও ইবনে হাযম জাহেরী (দ্র. আল মুহাল্লা, ২/২৭০) প্রমুখ এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে সুরা ফাতেহা পড়্যে হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
তবে আপনি যদি শাফেয়ী মাযহাব অনুসারী হোন বা আহলে হাদীস হোন,তাহলে আপনাকে এমতাবস্থায় সুরা ফাতেহা পড়তে হবে।
(০২)
আওয়াজ সহকারে জিহবা নাড়িয়ে মুখে উচ্চারণ করে বললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
তবে মনে মনে বললে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
(০৩)
মনে মনে বললে কুফরি হবেনা।
(০৪)
এতেও নামাজ হয়ে যাবে।
নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এমনিতেই সাহু সেজদাহ দেয়া শরীয়ত সমর্থিত নয়।
(০৫)
এক্ষেত্রে যে ১০টি কারণ প্রসিদ্ধ, তাহা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও মৌলিক কারন।
ইহা ব্যাতিতও কারন রয়েছে।
তবে সেগুলোও অনেকটা এই দশটির মধ্যেই চলে এসেছে।
(০৬)
বড় কুফরি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ